জাতীয়

সুষ্ঠু ভোটের জন্য সব করবে ইসি : সিইসি

সামর্থ্য অনুযায়ী সুষ্ঠু ভোটের জন্য ইসি সব করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘সাংবিধানিক পদ্ধতিতে নিরপেক্ষভাবে অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে যা যা করা দরকার, যা যা আমাদের সামর্থ্য আছে তার সব করা হবে।’

Advertisement

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি উপলক্ষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ কথা বলেন সিইসি। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগের দিন সোমবার (১৫ অক্টোবর) কমিশন বৈঠক থেকে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বেরিয়ে যান।

মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতি পাঁচ বছর পরপর সরকার পরিবর্তন হয়। মাঠপর্যায়ে আপনারা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হন তা বলবেন এবং এ সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সত্ত্বা। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কাজেই সাংবাধানিক দায়িত্ব থেকে কেউ কখনও বিচ্যুত হবেন না। আইনানুগ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নির্বাচন পরিচালনায় ব্রতী হবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের সময় সমগ্র জাতি একটি আবহ সৃষ্টি করে, জাতির মধ্যে আকুল আগ্রহের সৃষ্টি হয়। কারণ, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হয়, নতুন সরকার গঠিত হয়।’

Advertisement

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভোটারদের নিরাপত্তা, প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করে, সুশীল সমাজ, মিডিয়াসহ অন্যান্যদের পরামর্শ গ্রহণ করে নিজেদের বিবেকবুদ্ধি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জাতিতে প্রত্যাশিত নির্বাচন উপহার দেবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সিইসি।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

বৈঠকের আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার তালিকার সিডি যাচাই ও মুদ্রণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ এবং প্রতিষ্ঠানের বিশেষ সংস্কার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন, নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ, বিতরণ ও বাজেট প্রণয়ন ইত্যাদি।

এইচএস/এসআর/পিআর

Advertisement