কাঠফাটা রোদ থেকে হঠাৎই বৃষ্টি- এমন গরম-ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঠান্ডা লেগে যায় অনেকেরই। সর্দি-কাশি থেকে জ্বরও এসে যায় অনেক সময়। আমাদের শরীর যখন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মিউকাস তৈরি করে, তখনই বাড়তি মিউকাস নাকের দিক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেটাকেই আমরা বলি ‘নাক দিয়ে পানি পড়া’। যদি মিউকাস নাক দিয়ে বেরোতে না পেরে চুঁইয়ে গলায় নামে তাহলে তা হয়ে দাঁড়ায় শুকনো কাশির কারণ।
Advertisement
আরও পড়ুন : চোখে যেসব সমস্যা হলে ডাক্তার দেখানো জরুরি
মিউকাস কিন্তু যেকোনো ইনফেকশনের সঙ্গে লড়তে এবং তা তাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিউকাস শরীর তৈরি করলেই সমস্যা শুরু হয়। আচমকা ঠান্ডা পড়লে, অ্যালার্জি হলে, সাইনাসের ইনফেকশন দেখা দিলে, ধোঁয়া-ধুলো বা বিশেষ কোনো গন্ধ ট্রিগার হিসেবে কাজ করলে এমনটা হতে পারে।
যাদের নাকের হাড় একটু বাঁকা, তারা প্রায়ই এই সমস্যায় ভোগেন। গর্ভাবস্থায় বা কোনো বিশেষ ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও এমনটা দেখা দিতে পারে। নাক দিয়ে সর্দি বেরনো, কাশি ছাড়াও গলা ব্যথা, শ্বাসে দুর্গন্ধ, ঢোক গেলায় সমস্যাও হতে পারে।
Advertisement
সারানোর উপায় : জেনে নিন সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
*স্টিম ইনহেল বা গরম ভাপ নিতে পারলে খুব ভালো কাজ হয়, তাতে আপনার শ্বাসনালীর সমস্ত বাধা সরে যায়। দিনে দুইবার স্টিম নেয়ার পাশাপাশি অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খেলেই সাধারণত সমস্যা সেরে যায়।
*যারা খুব অ্যালার্জিতে ভোগেন তারা ডিসপোজেবল মাস্ক ব্যবহার করতে আরম্ভ করুন।
*গলায় আরামের জন্য উষ্ণ পানিতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার আর মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
Advertisement
*আদা আর মধু দিয়ে চা খেলেও সর্দি সেরে যায় অনেকসময়।
*দুধ আর কাঁচা হলুদ বেশ করে ফুটিয়ে পান করুন, শরীরের ভিতরের সব ইনফেকশন কমাতে তা কার্যকর।
এইচএন/এমএস