গোল করতে না পারার ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। আরেকবার যার খেসারত দিয়ে ম্যাচ হারলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। শুক্রবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হেরে গেছে ফিলিপাইনের কাছে। ২৪ মিনিটে গোল করেন অতিথি দলটির ড্যানিয়েলস।
Advertisement
গোটা পাঁচেক সহজ সুযোগ নষ্ট আর এ ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা তপু বর্মনের একটি ভুলের মাশুল দিয়ে ঘরে ফিরেছে জেমি ডে’র শিষ্যরা। অনেক দিন পর জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেননি তৌহিুল আলম সবুজ। মাহবুবুর রহমান সুফিলের পরিবর্তে সবুজকে আক্রমণভাগে নাবীব নেওয়াজ জীবনের সঙ্গে একাদশে রেখেছিলেন সুবজকে। কিন্তু জীবন ও সবুজ দুইজনই সহজ সহজ সুযোগ নষ্ট করলে হার দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করে বাংলাদেশ।
তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো থেকে হেড নিয়েছিলেন তপু বর্মন। তার হেড ফিরিয়ে দেন ফিলিপাইনের গোলরক্ষক। ফিলিপাইনের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে গেলে বল ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।
২৪ মিনিটে ফিলিপাইন এগিয়ে যায় বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তপু বর্মনের ভুলে। উড়ে আসা একটি বল বুকে থামালে তা পড়ে ফিলিপাইনের মিশাগার পায়ে। তিনি ডান দিকে বল ঠেলে দিলে তা ধরে কোনাকুনি শটে গোল করেন ড্যানিয়েলস।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ একের পর এক আক্রমণ করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। সবুজের ডান দিক থেকে নেয়া ক্রসে বক্সে দাঁড়িয়ে জীবন হেড নিলে বল চলে যায় বাইরে। এর কিছুক্ষণ পর ইমন বাবুর কর্নার ফিলিপাইনের গোলরক্ষক থামালে বল পান সবুজ। ছোট বক্স থেকে সবুজ অবিশ্বাস্যভাবে বল মারেন ক্রসবারের উপর দিয়ে। ইনজুরি সময়ে কর্নার থেকে পোস্টের সামনে জটলা তৈরি হলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কেউ।
বাংলাদেশকে হারিয়ে ফিলিপাইন হলো ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। রানার্সআপ হিসেবে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে কাকে পাচ্ছে, তা বোঝা যাবে শনিবার নেপাল ও ফিলিস্তিন ম্যাচের পর।
বাংলাদেশ একাদশ আশরাফুল ইসলাম রানা, তপু বর্মন, টুটুল হোসেন বাদশা, রহমত মিয়া, সুশান্ত ত্রিপুরা, ইমন মাহমুদ বাবু, মাসুক মিয়া জনি (জাবেদ)বিপলু আহমেদ, তৌহিদুল আলম সবুজ (মতিন মিয়া), রবিউল হাসান(ইব্রাহিম) ও নাবীব নেওয়াজ জীবন।
আরআই/এমএমআর/পিআর
Advertisement