গুজবের বিনিয়োগে মুনাফা করা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান।
Advertisement
তিনি বলেন, যারা গুজবভিত্তিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের অনুসরণ করে তাদের মুনাফা অনিশ্চিত এবং বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়ে।
বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বিএসইসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আনুপাতিক হার বেশি। যাদের এককভাবে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা এবং প্রবণতা নেই। এরা সাধারণত গুজবভিত্তিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের অনুসরণ করে। এতে তাদের বিনিয়োগ থেকে মুনাফা করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমনকি তাদের বিনিয়োগের অর্থ ঝুঁকিতে পড়ে।
Advertisement
তিনি বলেন, শেয়ারে ঝুঁকির পরিমাণ বোঝানোর জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে যোগ্যতা অনুযায়ী ‘এ’ ‘বি’ ‘এন’ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে সাজানো হয়েছে। এরমধ্যে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের এ ক্যাটাগারিতেই আগ্রহ বেশি। এ ছাড়া ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত তুলনামূলক দুর্বল কোম্পানিতে তাদের আগ্রহ বেশি।
এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, বিএসইসি একটি সিস্টেমের মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করে। চাইলেই প্রতিদিন শেয়ার দর বৃদ্ধি নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। এতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর শেয়ারবাজারে একটি গ্রুপ থাকে, যারা টার্গেট করে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বলে যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ বলেন, গুজবে বিনিয়োগ করলেই মুনাফা হবে এমনটি ভাবা ঠিক না। বিশ্বের কোথাও গুজবের বিনিয়োগে মুনাফা করা সম্ভব নয়। এ জাতীয় বিনিয়োগের একটি লেনদেনে মুনাফা করা গেলেও দিন শেষে লোকসান হয়।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে রুলস, রেগুলেশন, কর্পোরেট গভর্নেন্স গাইডলাইনস (সিজিজি) পরিপালনে অতিরিক্ত পাঁচজন স্টাফ দরকার হয় বলে অনেক তালিকাভুক্ত কোম্পানির দাবি। যেটাকে যুক্তি দেখিয়ে অনেক উদ্যোক্তা শেয়ারবাজারে আসতে চায় না। কিন্তু শেয়ারবাজারে আসার মাধ্যমে একটি কোম্পানির যে পরিমাণ ভ্যালুয়েশন তৈরি হয়, সেটা পৃথিবীর অন্য কোথাও সম্ভব নয়। বিষয়টি হয়তো উদ্যোক্তারা এখন বুঝতে পারছে না। ভবিষ্যতে বুঝবেন। আর রুলস, রেগুলেশন, সিজিজি পরিপালনে একটি কোম্পানির শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
Advertisement
এমএএস/এএইচ/এমএস