একদিন, দু’দিন আগের কিংবা এক বছর, দু’বছর আগের ঘটনা নয়। ৯ বছর আগের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের একটি হোটেলে নাকি ক্যাথরিন মায়োরগা নামে এক নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ধর্ষণের পর সেই নারীর মুখ বন্ধ রাখার জন্য প্রচুর অর্থও নাকি দিয়েছিলেন রোনালদো।
Advertisement
কিন্তু ৯ বছর পর হঠাৎ করে একটি আইন সংস্থার মাধ্যমে মুখ খুলেছেন সেই নারী। যার বয়স এখন ৩৪ বছর। রোনালদোর বয়স ৩৩। ক্যাথেরিন মায়োরগার অভিযোগ আবার প্রকাশ করেছে জার্মানির একটি ম্যাগাজিন। সেই ম্যাগাজিনে ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
আগে থেকেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিভিন্ন মাধ্যমে এই ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করে আসছিলেন। তার নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে বলছিলেন, ‘অভিযোগকারিনী নিজে সবার নজরে আসার জন্য এ ধরনের মনগড়া ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এটা কোনোভাবেই সত্য নয়।’
যদিও আমেরিকার একটি আইন সংস্থা দাবি করেছিল, এ ঘটনায় রোনালদো দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সেই দাবির সত্যতা কতটুকু তা জানা যায়নি। এবার অন্যসব মাধ্যম ছেড়ে রোনালদো সরাসরিই ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। টুইটারে মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে রোনালদো এটাও আশা প্রকাশ করেন যে, তিনি এই অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।
Advertisement
টুইটারে রোনালদো লেখেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে আমার প্রতি ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করছি। ধর্ষণ খুবই জঘন্য একটি অপরাধ। আমি নিজেও এ ধরনের অপরাদের ঘোরতর বিরোধী। আমি নিজে চাই এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে। এমনকি আমার নামে মিডিয়ায় যে সব অভিযোগ উঠে এসেছে এবং মনগড়া বক্তব্য এসেছে, সে সবেরও বিরোধিতা করছি আমি।’
আইএইচএস/জেআইএম