সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের এবং তার আগে শ্রীলংকার কাছে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের ভুলে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে করা তার ভুলের চড়া দাম দিতে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। সোহেল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে নেই, গোলপোস্টের নিচে এখন দেশসেরা গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
Advertisement
ভুল ফুটবলেরই অংশ। তবে অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের চেয়ে গোলরক্ষকের ভুল বেশি বিপদে ফেলে দলকে। সাফের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর বাফুফে সভাপতি তাই বিদেশি গোলরক্ষক কোচ এনে এই পজিশনের খেলোয়াড়দের আলাদা দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন বলেছেন।
সোহেলের ভুল বাংলাদেশকে বিদায় করেছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রথম ম্যাচে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাও দলকে প্রায় বিপদে ফেলতে গিয়েছিলেন। তার ভুল লাওস কাজে লাগাতে পারলে উদ্বোধনী ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো।
বুধবার অনুশীলনের পর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেছেন, ‘লাওসের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমারও কয়েকটা ভুল হয়েছিল। সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি, গোলরক্ষক কোচও সংশোধনের পথ দেখিয়েছেন। ম্যাচের পর আমি ভিডিওতে বারবার ভুলগুলো দেখেছি। আমি সংশোধনের চেষ্টা করছি।’
Advertisement
সোহেলের ভুল নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। ওই রকম ভুল নিশ্চয়ই এড়াতে চাইবেন রানা। সেটা কী দেশসেরা গোলরক্ষকের জন্য কোনো চাপ? আশরাফুল ইসলাম রানা বলেছেন তিনি কখনো চাপ নেন না, ‘আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না। আমি চাপ নেইও না। চ্যালেঞ্জ বা চাপ আমি দুটার কোনোটাই নিতে চাই না। ভুল খেলারই অংশ। সাফে সোহেলের গোল খাওয়াও ভুল ছাড়া কিছু নয়। আমার জায়গা থেকে সেই ভুল করতে চাই না।’
লাওসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কী লক্ষ্য ছিল আপনাদের? জবাবে আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিলো, ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চটা দেয়া। আমাদের কমিটমেন্ট ছিল যে, গোল হজম করব না। ম্যাচে সুযোগ আসবে, তখন আমরা স্কোর করব। এটাই ছিল লাওসের বিপক্ষে আমাদের মূল লক্ষ্য।’
গোলরক্ষকের ভুল হলে দলকে বেশি ভুগতে হয় তা উল্লেখ করে রানা বলেন, ‘গোলরক্ষকের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আমি এটা বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের কন্ডিশন অনুযায়ী গোলরক্ষক এবং ডিফেন্ডাররা মিলিয়ে আমরা যদি ভাল খেলতে পারি তাহলে দলও ভাল খেলবে।’
অনেকের ধারণা, সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলে ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে ম্যাচটির তেমন গুরুত্ব থাকবে না। তবে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা কোনো ম্যাচকেই হালকাভাবে নেয়ার পক্ষে নন, ‘আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলেও ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে ম্যাচটিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। দেশের মাটিতে খেলা। দর্শকরা মাঠে এসে খেলা দেখছে। তারা চাইবে বাংলাদেশের জয় দেখতে। আমাদের কাজ হবে ভাল একটা ফুটবল ম্যাচ উপহার দেয়া।’
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম