প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেই পাকিস্তানকে নতুন রূপে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইমরান খান। জাতিসংঘের মঞ্চেও এই একই বিষয়ে গলা চড়িয়েছেন পাক প্রতিনিধিরা। এমতাবস্থায় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইবার প্রধান হাফিজ সাইদের সঙ্গে একই মঞ্চে বসলেন ইমরানের মন্ত্রিসভার এক সদস্য।
Advertisement
মুম্বাই হামলার মাস্টার মাইন্ডের সঙ্গে একই সারিতে বসে বৈঠক করলেন পাকিস্তানের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রী নুর-উল-হক-কোয়াদরি। ফলে আরও স্পষ্ট হল সন্ত্রাসবাদে পাক মদতের বিষয়টি। পাশাপাশি প্রশ্নের মুখে পড়ল জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে ইমরানের প্রশাসনের সদিচ্ছা।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতেই পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসে শুধু মদতই দেয় তাই নয়, তাকে মহিমান্বিতও করে। সন্ত্রাসবাদীদের নামে ডাকটিকিট বের হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হয়। এমন দেশের সঙ্গে শান্তি বৈঠকে কী লাভ?
একদিকে আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছি। অন্যদিকে, যাদের মাথার দাম ঘোষণা হয়েছে, এমন জঙ্গিরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানে। তাদের অর্থ দিয়ে, মদত দিয়ে ‘নায়ক’ বানানো হচ্ছে।
Advertisement
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে আক্রমণের পর ভারতের বিরুদ্ধেই পালটা সরব হন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। ভারতের বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদী হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তান যে সরাসরি জড়িত, সেকথা একাধিকবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে জানিয়ে এসেছে ভারত। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তার তথ্যপ্রমাণও দেখিয়েছে নয়াদিল্লি। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ সুর চড়ালেও বারবার ইসলামাবাদ তা খারিজ করে এসেছে। তাদের পড়তে হয়েছে মার্কিন ক্ষোভের মুখেও।
পাকিস্তানকে সমস্ত রকমের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement