আইন-আদালত

অর্থ আত্মসাৎ : সোশ্যাল ব্যাংকের অফিসারের ১০ বছরের কারাদণ্ড

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান শাখার সিনিয়র অফিসার (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) জাকিয়া সুলতানাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

সোমবার ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ শহিদুল ইসলাম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

পেনাল কোডের ৪০৯ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাকিয়া সুলতানাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় তাকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ব্যাংকের আত্মসাতকৃত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন।

Advertisement

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোর্ট পরিদর্শক আশিকুর রহমান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান শাখার (দিলকুশা) সিনিয়র অফিসার জাকিয়া সুলতানা কর্মরত থাকা অবস্থায় বিধি বহির্ভূতভাবে শাখার ৪৭ জন গ্রাহকের সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাব থেকে মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪২১ টাকা তার নিজের হিসাব, স্বামীসহ নিজের যৌথ হিসাব এবং তার ভাইয়ের নামে খোলা হিসাব নম্বরে স্থানান্তর পূর্বক উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও জাকিয়া সুলতানা আটটি ডাবল বেনিফিট ও লাখপতি স্কিম হিসাব গ্রাহকের অনুকূলে মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর সময় ওই স্কিম হিসাবগুলোতে ইতোপূর্বে অধিক হারে জমাকৃত মুনাফা ফেরতকালে মোট ৫৪ হাজার ৭৩৫ টাকা ব্যাংকের ব্যয় হিসাবে জমা না করে আত্মসাৎ করেন।

১৫ সেপ্টেম্বর স্টেটমেন্ট চার্জবাবদ শাখার ৮ জন গ্রাহকের কাছ থেকে মোট ১ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করা হলেও তিনি ৭০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। সবমিলিয়ে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকা আত্মসাৎ করেন জাকিয়া সুলতানা।

Advertisement

এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা মতিঝিল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

জেএ/এসআর/এমএস