একজন পুরুষের যৌন জীবনে অক্ষমতার কারণ মানসিক, নাকি শারীরিক সেটা বোঝার খুব সহজ এক উপায় বের করেছেন তিন চিকিৎসক। পন্থাটা সহজ, ঘুমাতে যাওয়ার আগে পুরুষাঙ্গে রিংয়ের মতো করে ডাক টিকিট জড়িয়ে নিতে হবে; সকালেই পেয়ে যাবেন উত্তর।
Advertisement
নিজের উদ্ভাবন বড় অনুষ্ঠানে তুলে ধরতে বিশেষ পছন্দ করেন জন বেরি৷ একজন পুরুষের পুরুষাঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে কি-না তা যাচাইয়ের এক সহজ উপায় জানেন তিনি।
এজন্য যা করতে হবে, তা হচ্ছে, পুরুষাঙ্গে রিংয়ের মতো করে ডাকটিকিট জড়াতে হবে এবং কিছুটা কল্পনাশক্তি লাগবে।
সেই ১৯৭৯ সালে বেরি তার দুই সহকর্মী, ব্রুস ব্ল্যাঙ্ক এবং মাইকেল বোইলিয়ুকে নিয়ে এই পন্থা উদ্ভাবন করেছিলেন। আর সেই উদ্ভাবনের প্রায় চল্লিশ বছর পর তারা রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনে আইজি নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন। এটি একটি প্যারোডি নোবেল পুরস্কার, যা এমন উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেয়, যার কথা শুনলে মানুষ প্রথমে হাসবে, তারপরে ভাববে।
Advertisement
আরও পড়ুন : শরীর বাঁকানো এই কসরত সৌদি নারীদের!
বেরি বলেন, ‘আমাদের এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় একজন মানুষের লিঙ্গউত্থান ঘটে কি-না তা যাচাই করা। একজন স্বাভাবিক পুরুষের ঘুমন্ত অবস্থায় এক থেকে পাঁচবার লিঙ্গউত্থান ঘটে। আর এটা তিনি যখন স্বপ্ন দেখেন, তখন ঘটে। সেই স্বপ্ন যে যৌনউদ্দীপক হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখা যায়, ডাকটিকিটগুলো ছিঁড়ে যায়নি, অর্থাৎ আগের মতোই আছে, তাহলে বুঝতে হবে কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে সেই ব্যক্তির যৌন অক্ষমতা রয়েছে। বেরি বলেন, সেই ব্যক্তির হয়ত ডায়াবেটিস, বা ধমনীতে সমস্যা আছে।
কিন্তু, যদি দেখা যায়, ঘুমন্ত অবস্থায় একজন মানুষের লিঙ্গউত্থান ঘটে, কিন্তু যৌন সম্ভোগের সময় তেমনটা ঘটে না, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যাটা আসলে মানসিক। অর্থাৎ ডাকটিকিট পরীক্ষা সমস্যার কারণ বুঝতে সহায়ক। এই পরীক্ষা করতে একটি পুরুষাঙ্গের জন্য চারটি পর্যন্ত ডাকটিকিট দরকার হতে পারে। আর সেগুলো আঠা দিয়ে অবশ্যই আটকে দিতে হবে। ডিডব্লিউ।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম