বাংলাদেশে বছরে ১৭ হাজার ৭৬৪ জন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।
Advertisement
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম আয়োজিত ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার কারেন্ট সিচুয়েশন অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।
হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, স্তন ক্যান্সার শুধু নারীদের নয় পুরুষদেরও হতে পারে। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। নারীদের তুলনায় পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একশ ভাগের এক ভাগ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্তদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত বা কারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তার পরিসংখ্যান করাও কঠিন। তবে এটা ঠিক বাংলাদেশের নারীরা সব থেকে বেশি আক্রান্ত হন স্তন ক্যান্সারে। প্রতিবছর ১৭ হাজার ৭৬৪ জন বা ১৯ শতাংশ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
Advertisement
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে জানিয়ে রাসকিন বলেন, বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ালে দুদিক থেকেই ক্ষতি। বাচ্চাকে বুকের দুধ না দিলে নিজের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আবার সন্তানকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট উপাদান থেকে বঞ্চিত করা হয়।
এ সময় মেয়েদের পিরিয়ড দ্রুত শুরু হলে এবং বেশি বয়স পর্যন্ত চললে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলেও জানান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের এই সহযোগী অধ্যাপক।
তিনি বলেন, যারা মাংস ও চর্বি জাতীয় খাবার পছন্দ করেন, কিন্তু পরিশ্রম বা হাঁটাহাঁটি করেন না তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হলে চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে এবং বেশি বেশি তাজা ফল ও সবজি খেতে হবে।
হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঞ্চলনায় বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন, মোজাহেদুল হক, মাহজাবিন প্রমুখ।
Advertisement
অনুষ্ঠানে স্তন ক্যান্সারের পাঁচটি লক্ষণ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- স্তনে চাকা বা পিণ্ড, নিপল বা বোঁটা ভেতরে ঢুকে যাওয়া, অসমান বা বাঁকা হয়ে যাওয়া, নিপল দিয়ে অস্বাভাবিক রস বা রক্তক্ষরণ হওয়া, চামড়ার রং বা চেহারায় পরিবর্তন এবং বগলে পিণ্ড বা চাকা।
এমএএস/বিএ/জেআইএম