‘আমি মনে করি প্রতিবছরই সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করা প্রয়োজন। তাহলে গ্রাজুয়েটশন কমপ্লিট করার পর শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবেই সার্টিফিকেট নিয়ে বের হতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি রাখবো তারা যেন প্রতিবছরই গ্রাজুয়েশন শেষ করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আমি প্রতিবছরই সমাবর্তন চাই।’
Advertisement
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তনে এসে বলছিলেন, ২০১২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে মতিহারের সবুজ চত্বর ছেড়ে যাওয়া ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মতিউর রহমান শুভ।
মতিউরের সঙ্গে একমত পোষণ করে তার ছোটবোন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুন নাহার নক্ষত্র বলেন, নির্দিষ্ট সময়েই সমাবর্তন হওয়ার সুফল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রশাসন উভয়েই ভোগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, সমাবর্তন দেরিতে হলে কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারে না। মাস্টার্স কমপ্লিট করার বছরেই সমাবর্তন হলে একটি অন্যরকম আমেজ সৃষ্টি হয়। সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে আমার মনে হয়।
Advertisement
ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আবু যর গিফারী মোল্লাও সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন চান নির্দিষ্ট সময়েই। কারণ হিসেবে বলছিলেন, কর্মস্থল থেকে ছুটি নেয়ার প্রয়োজন হবে না। এত বড় আয়োজন করতে হবে না।
ক্যাম্পাসে বর্তমান শিক্ষার্থী হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমদাদুল হক সোহাগ বলেন, সমাবর্তন হলে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। সাবেকদের সঙ্গে বর্তমানদের একটি সেতুবন্ধন তৈরি হয়। আমরা চাই এই ধারাটা অব্যাহত থাকুক।
এরই মধ্যে সমাবর্তন মাঠে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। ৩টায় সমাবর্তন শোভাযাত্রা শেষ হলেই শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান।
এমএএস/এমএস
Advertisement