খেলাধুলা

লন্ডন যাওয়ার আগে তামিম : আশা করি এবার ভাগ্যবদল হবে

অবশেষে দল আবারও ফাইনালে। নিয়তি বোধ হয় একেই বলে! ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে তার দল যখন টস করতে নামবে, তামিম ইকবাল তখন লন্ডনের উপকণ্ঠ সাউথহ্যাম্পটনে হাতের কব্জির চিকিৎসার জন্য থাকবেন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে।

Advertisement

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই কব্জির আঘাত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়েছে তামিমকে। এরপর তিনি ফিরে আসেন দেশে। দেশসেরা এই ওপেনারকে ছাড়া ধুঁকলেও সম্মিলিত দলীয় পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ। তামিমের হতাশাটা তাই আরও বেশি, দলের এমন মুহূর্তে অবদান রাখতে পারছেন না। কষ্ট তো হচ্ছেই!

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার পর ব্যস্ত সময়ের মাঝেই জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন দেশসেরা এই ওপেনার। ছোট্ট আলাপচারিতায় চোটে ছিটকে পড়ার হতাশা আর দুঃখ গোপন করতে পারেননি তিনি। তার মাঝেও দলকে জানিয়েছেন শুভকামনা, শুনিয়েছেন আশার কথা।

আজ সকাল এগারটায় কাতার এয়ারওয়েজে লন্ডন যাচ্ছেন তামিম। ঢাকা থেকে দোহা, দোহা থেকে লন্ডন। লন্ডনে পৌঁছার পর কাল ব্রিটিশ সময় দুুপুর ১২টায় সাউথহ্যাম্পটনে একটি ক্লিনিকে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করবেন দেশসেরা ওপেনার। বাংলাদেশ সময় তখন বিকেল পাঁচটা, ভারতের সঙ্গে ঠিক ওই সময়ই টস করতে নামবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

Advertisement

ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে তামিম বলেন, 'আমি জানি না, ডাক্তার কি দেখে কি বলবেন। সেটা দেখার পর ডাক্তারই আসলে বলতে পারবেন কি করণীয়। তবে আমি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকার প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। বাকিটা নির্ভর করবে চিকিৎসকের অভিমত ও পরামর্শর উপর। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার কারণে যদি বেশি সময় থাকতে হয়, তাহলে ভিন্ন কথা। না হয়, ১ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা আছে আমার। ডাক্তার চাইলে বা বললে আরও বেশি সময় থাকতে হবে। '

এই যে ফাইনাল মিস করা, খেলতে না পারা- এই অনুভূতিটা নিশ্চয়ই দুঃখ জাগানিয়া? তামিম হতাশাটা গোপন করতে পারলেন না, 'আসলে কি আর বলব, ফাইনাল তো বহুদূরে। আমি তো কোনো ম্যাচই খেলতে পারলাম না। এই আক্ষেপের কথা কি বলে বোঝানো যায়? এর চেয়ে দুঃখের আর কিছু হতে পারে না। এখন দল ফাইনালে উঠার পর আরও বেশি খারাপ লাগছে এই কারণে যে, আমরা অনেক ফাইটব্যাক করে অবশেষে ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করেছি। সেখানে আমি থাকলে অবশ্যই দলে অবদান রাখার প্রাণপন চেষ্টা করতাম।'

তবে যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। দলের জন্য শুভকামনাই ঝড়ে পড়লো তামিমের কণ্ঠে। আশার বাণী শোনালেন, এবার হয়তো ফাইনাল হারের কষ্টটাও কাটবে, 'আমার তো এখন আর কিছু করার নেই। তবে দলের জন্য শুভকামনা। এর আগে আমরা দুইবার ফাইনালে উঠেও ট্রফি জিততে পারিনি। না পারার গ্লানি ও দুঃখ সঙ্গী হয়েছিল। এবার আশা করব, সেই দুঃখ ও হতাশা কাটবে। আশা করি এবার আমাদের ভাগ্যবদল হবে।'

এআরবি/এমএমআর/আরআইপি

Advertisement