অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায় সামনে বসা মেয়েদের মধ্যে থেকে একজনকে খুঁজছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। বাফুফে সভাপতি বলছিলেন-'হোয়ার ইজ নাম্বার টেন?' ছোটখাটো গড়নের তহুরা খাতুন তখন উঠে দাঁড়াতেই কাজী মো. সালাউদ্দিন বললেন, বসো বসো।
Advertisement
৩৯ জন মেয়েকে পুরস্কার ও অনুপ্রেরণা দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি। তাদের মধ্যে কেন শুধু তহুরা খাতুনকে আলাদা করে খুঁজলেন কিংবদন্তি এ ফুটবলার? আসলে ময়মনসিংহের এ কিশোরীর খেলা দেখে বাফুফে সভাপতি এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে, আলাদা করে অভিনন্দন জানাতেই তাকে খোঁজা।
তহুরাকে অনেকে বলেন, বাংলাদেশের নেইমার। কেউ কেউ বলেন মেসি। আসলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স চুরমার করতে তহুরার জুড়ি নেই। গত আগস্টে ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন বাংলাদেশের এ কিশোরী। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের গ্রুপসেরা হওয়ার পেছনে তার রয়েছে বড় অবদান। গোল করেছেন ৩টি।
তার পায়ের কারুকাজ ও অনন্ত সাহসের কথা উল্লেখ করে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমি তো তোমার খেলা দেখে বোকা বনে গেছি। তুমি বল নিয়ে কিভাবে বক্সে ঢুকছিলে বিদ্যুৎ গতিতে। আসলে এটাই গোল করার আসল সাহস। তোমার খেলা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ।’
Advertisement
একই সঙ্গে উঠলো ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনের কথাও। একজন বললেন, ‘আঁখি তো কায়সার হামিদের মতো খেলে।’ তখন বাফুফে সভাপতি বললেন-‘না, আঁখি খেলে স্পেনের স্টপার জেরার্ড পিকের মতো। আর ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে আঁখিকে তো কোনো পরিশ্রমই করতে হয়নি। ভিয়েতনাম তো কোনো অ্যাটাকই করতে পারেনি।’
আরআই/এমএমআর/পিআর