রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ হওয়ায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল (আইনি) নোটিস পাঠিয়েছে দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। নোটিসে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনার কথা বলা হয়েছে।
Advertisement
রোববার দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া রেজিস্ট্রি ডাকযোগ এ নোটিস পাঠান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনের উপ- সচিবকে সাতদিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিসে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধনের আবেদন খারিজ কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গত ১৯ জুন নির্বাচন কমিশনের গৃহীত সিদ্ধান্ত আগামী সাতদিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিসে বলা হয়েছে।
Advertisement
নোটিসে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। পরে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনবিধি, ২০০৮ ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই আবেদনে। ১৫ দিনের মধ্যে এর ব্যাখা দাখিল করতে বলা হয় গণসংহতি আন্দোলনকে।
পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয় ঠিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যাসহ আবার তা ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়।
এ বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম এরপর গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হবে। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করেও নিবন্ধন না দেয়ার বিষয়ে কোনো কিছু জানতে পারিনি। পরবর্তীতে ১৯ জুন নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব নোটিস দিয়ে জানায় যে, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২ এর দুটি বিধানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। নোটিসে বলা হল, গণসংহতি আন্দোলনের গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি এবং গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদ ৯০ সি (১) (ই) এর সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের গঠনতন্ত্রের ১০ (চ) সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে আবেদনটি খারিজ করা হলো।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চেয়ে সাকির করা আবেদনটি নির্বাচন কমিশন কোনো আইনগত কারণ উল্লেখ না করে খেয়াল-খুশি মতো খারিজ করে দিয়েছে উল্লেখ করে আইনি নোটিসে বলা হয়েছে।
Advertisement
এফএইচ/এনডিএস/এমএআর/এমএস/জেআইএম