দেশজুড়ে

টয়লেটের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা নবজাতকটি ভালো আছে

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বাড়ির বাথরুমের ভেতর থেকে জীবিত অবস্থায় এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা বাচ্চাটিকে ফেলে গেছে এখনো জানা যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে নবজাতকটি এখন বেশ ভালো আছে।

Advertisement

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকার পাইলট মিয়ার বাড়ির বাথরুম থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে বাথরুমের ভেতর থেকে জীবিত অবস্থায় নবজাতকটি উদ্ধারের ভিডিওটি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। কমেন্টে পরিচয় জানার জন্য নানা ধরনের মন্তব্য করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকার পাইলট মিয়া তার বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে বাথরুমটি তৈরি করে। পাশে একটি সরু রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করে। পাইলট মিয়ার বাথরুমের ভেতর থেকে শিশুটির কান্নার শব্দ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন লোক একত্রিত হয়ে বাথরুমের চাক খুলে নবজাতকটি উদ্ধার করে।

Advertisement

পরে বাচ্চাটির শরীর পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। নবজাতককে সুস্থ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে এলাকার লোকজন। বাথরুমের ভেতর থেকে জীবিত নবজাতককে উদ্ধারের পর পাইলটের বাড়ির সামনে উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকে। আর নবজাতকের পরিচয় জানার জন্য আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে সন্ধান চালানো হয়।

গ্রামে এত অনুসন্ধান তবুও মেলেনি নবজাতকের পরিচয়। এলাকাবাসীর মুখে শোনা যাচ্ছে নবজাতকটি কারো অবৈধ সন্তান হওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে বাথরুমের ভেতরে ফেলে দেয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত নরসিংদী সদরের রংপুর এলাকার মোছন আলীর ছেলে সুমন মিয়া নবজাতকের দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন। পরে এলাকাবাসী সুমনের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা রেখে লালন পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়।

সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মিয়া জানান, নোয়াগাঁও এলাকার পাইলট মিয়ার বাড়ির বাথরুম থেকে জীবিত অবস্থায় এক নবজাতককে উদ্ধারের বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে এলাকার কেউ অবগত না করায় খোঁজখবর নিতে পারিনি।

Advertisement

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ হক জানান, নবজাতককে উদ্ধারের বিষয়টি অবগত নয়। এলাকার কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কয়েকজন সাংবাদিক আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন।

মো: শাহাদাত হোসেন/এমআরএম