আন্তর্জাতিক

দৃষ্টিহীন তরুণীকে ধর্ষণ, পুড়িয়ে ফেলা হলো ভ্রূণ

ভারতের গোয়ালিওরে ২৪ বছর বয়সী এক মূক ও দৃষ্টিহীন তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সে একটি শেল্টার হোমে থাকত। সেখানকার এক দারোয়ান প্রায় দু'মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের কারণে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জোর করে তার গর্ভপাত করানো হয়। শুধু তাই নয় গর্ভপাতের পর ভ্রূণটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

Advertisement

এই ঘটনায় চার চিকিৎসকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে তিন চিকিৎসকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণী দৃষ্টিহীন ও মূক। স্নেহালয় নামে বিদেশি অনুদানে পরিচালিত একটি হোমে থাকতেন তিনি। সেখানকার এক প্রহরী তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মধ্য প্রদেশের ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের কাছে একটি অভিযোগ আসার পরেই বিষয়টি সামনে আসে।

ওই তরুণীর সঙ্গে থাকেন এমন একজন জানিয়েছেন, গত দু'মাস ধরে ওই হোমের দারোয়ান সাহাব সিং গুরজার তাকে ধর্ষণ করে আসছে। কথা বলতে না পারায় ওই নারীকে প্রতিদিন এই অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছিল। এমনকী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় কয়েকজন চিকিৎসক তার গর্ভপাত করিয়ে ভ্রূণ পুড়িয়ে ফেলে।

Advertisement

বিলাওয়া থানার পুলিশ কর্মকর্তা অমিত বাধোরিয়ার জানান, সম্প্রতি ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ওই হোমের ডাক্তার বি কে শর্মা তাকে জোর করে গর্ভপাত করিয়ে তারপর ভ্রূণটি পুড়িয়ে ফেলেন যেন আর কোন প্রমাণ না থাকে। ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। ওই দারোয়ানকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টিটিএন/এমএস