রাজনীতি

মিডিয়ার হাত বেঁধে দিয়েছে সরকার : নজরুল

সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মিডিয়ার হাত বেঁধে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজররুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

Advertisement

‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ভূমিকা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম নামের একটি সংগঠন।

নজরুল বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, লেখক, সাংবাদিক সবাই এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেছে, কিন্তু এরপরও কোনো কাজ হয়নি। আইন পাস হয়েই গেছে। আবারও স্বাধীন সাংবাদিকতা অধিকার হারালো।

তিনি বলেন, ‘যদি মিডিয়া না থাকতো আমরা বহু মানুষের অন্যায়, অনাচার দেখতে পেতাম না বা জানার সুযোগও হতো না। এমনকি আমাদের বহু আন্দোলন সফল হতো না। আজকে সেই মিডিয়ার হাত বেঁধে দেয়া হয়েছে।’

Advertisement

নজরুল বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী সকল বিচারক একমত হয়ে বাতিল করলেন অথচ সে রায়ে কিছু মন্তব্য করার জন্য প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি একটা বই লিখেছেন, বইয়ের কথাগুলো বিচারবিভাগের স্বাধীনতা প্রমাণ করে না, প্রমাণ করে, সরকার এবং তার দলের লোকেরা বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে।’

নতুন কোনো কায়দায় সরকার সফল হবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের নতুন কায়দা হলো যখন একটা আন্দোলন সফল হওয়ার পথে তখন আরেকটা ইস্যু শুরু করা, যাতে একটা রেখে আরেকটা নিয়ে দৌঁড়াতে হয়। তবে তা সফল হবে না।

তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে। তারই পরিপেক্ষিতে সরকার তারেক রহমানকে গ্রেনেড হামলা মামলায় জড়িয়ে রায় দিতে যাচ্ছে।

Advertisement

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে নজরুল বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তার বাম হাত, বাম পা অবশ হয়ে পড়েছে। তিনি হাঁটতে পারেন না, চলতে পারেন না। তার চোখের অবস্থা এতো খারাপ হয়ে গেছে যে, চিকিৎসা না নিলে তিনি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। এতো কিছু জানার পরও মায়ের জাত আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনো উদ্যোগ নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, আপনাদের হিংসা চরিতার্থের কারণেই তাকে শাস্তি দিয়ে জেলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিনাচিকিৎসায় মরে যাবার অপরাধ তিনি করেননি। আপনারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী, শত্রু নন। আমরা দেশকে ভালোবাসি বলেই রাজনীতিতে এসেছি। তাই অবিলম্বে তার সুচিকিৎসার করার দাবি জানাচ্ছি।’

আলোচনা সভায় মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/জেডএ/পিআর