বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিয়ে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আদেশের জন্য ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশের দিন ধার্য ছিল। আদালত নথি পর্যালোচনা করে আদেশের জন্য ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৬ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত ৩০ জুন ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।
Advertisement
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’
ওই সময় তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। পুলিশ দিয়ে বিরোধীদলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেফতার, গুম ও হত্যা করছে। উন্নয়নের নামে পদ্মা সেতু ও ফ্লাইওভারের কাজ বিলম্ব করে ব্যয়বহুল অর্থ দেখিয়ে লুটপাট করছে। যার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হুকুম দিচ্ছি, তোমরা প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে নেমে এ সরকারের বিরুদ্ধে সব জনগণ ও যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার ব্যবস্থা কর।’
তার এমন বক্তব্যে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
জেএ/এএইচ/জেআইএম
Advertisement