আন্তর্জাতিক

অবরোধের কারণে কাতার এয়ারওয়েজের ক্ষতি ৭০ কোটি ডলার

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর এবং বাহরাইন কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের কারণে ৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। গত ২০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে বিমান সংস্থাটি। এর আগে এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি তারা।

Advertisement

২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে চার উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর এবং বাহরাইন। এই অবৈধ অবরোধ আরোপের কারণে এয়ারলাইন্সগুলো সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত বছর ওই চার আরব দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং ২০১৪ সালে উপসাগরীয় দেশগুলোর গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) একটি চুক্তি লঙ্ঘন করে সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে স্থল, বিমান এবং সাগরপথ বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কাতার।

কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী আকবর আল বাকের এক বিবৃতিতে বলেন, কাতারের ওপর এই অবরোধ আমাদের অর্থনীতিকে প্রভাব ফেলেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি পড়েছে আমাদের এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর।

Advertisement

তিনি বলেন, তবুও এই পরিস্থিতিতে আমি সন্তুষ্টচিত্তে বলতে চাই যে, আমাদের শক্তিশালী ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা এবং এই সংকট মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আমাদের যাত্রী এবং আত্মত্যাগী কর্মীদের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো যতটা ভেবেছিল ততটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি আমাদের ওপর।

চার আরব দেশের অবরোধের কারণে ১৮টি শহরে প্রবেশের অধিকার হারিয়েছে কাতারি এয়ারলাইন। ফলে নতুন করে তুরস্ক, ইরান এবং ওমানের ভেতর দিয়ে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করতে হচ্ছে।

উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সংকট শুরু হওয়ার পর নতুন ২৪টি গন্তব্য ঘোষণা করে কাতার এয়ারওয়েজ। আল বাকের জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে তার কোম্পানী কতটুকু প্রভাবিত হয়েছে সে বিষয়ে তার ধারণা আছে। কিন্তু তিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের উন্নতি বৃদ্ধি করব এবং কাতার আগের মতোই বিনিয়োগ করে যাবে।

টিটিএন/জেআইএম

Advertisement