বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
Advertisement
মঙ্গলবার রাতে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশান থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেশব্যাপী চলমান পাইকারী মামলা-হামলা-গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সোহেলের স্ত্রীর বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, তার বিরুদ্ধে চার-পাঁচ’শ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী মহাজোট সরকার এখন পতনের ভয়ে শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। অবৈধ সরকারের নির্মমতায় জনগণ ফুঁসে উঠেছে। সরকার প্রস্থানপথ খোঁজার জন্যই সারা দেশ নিঃশব্দ করে কারাগারগুলোতে ঠেসে ঢোকানো হচ্ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের। সারা দেশের কারাগারগুলো রাজবন্দিদের ভিড়ে উপচে পড়ছে। সরকার টিকে থাকতে কোথাও থেকে কোনো বার্তা পাচ্ছে না। ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, জালজালিয়াতি, মিথ্যাচার ইত্যাদি অবলম্বন করেই সরকার জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মেতে উঠেছে। ক্ষমতা হারানোর হতাশার বিকারেই সরকার মারমুখী হয়ে উঠেছে।’
রিজভী বলেন, সোহেল বিএনপি’র একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ছাত্র রাজনীতি শেষ করার পরে সে ক্রমান্বয়ে বর্তমান অবস্থানে থেকে রাজনীতি করছে। একজন সজ্জন, মৃদুভাষী রাজনীতি হওয়ার পরও শুধুমাত্র সক্রিয়ভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য তার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে। বেশ কিছু মামলায় জামিনে বেরিয়ে আসার পরও গত আট মাসে তার বিরুদ্ধে ৭০-৮০ মামলা হয়েছে। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাইফুল ইসলাম পটু, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
কেএইচ/জেএইচ/এমএস
Advertisement