বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতিসংঘ সফরে আওয়ামী লীগ আতঙ্কিত ও বিচলিত হয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলছে। জাতিসংঘ থেকে বিএনপিকে দাওয়াত দেবে, এটা তাদের (আওয়ামী লীগ) সহ্য হয়নি। তারা অনেক বিরূপ মন্তব্য করেছেন, যার সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নাই।
Advertisement
দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন মওদুদ। ‘মরহুম নাসির উদ্দিন পিন্টু স্মৃতি সংসদের’ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় নেতারা যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে যে, তারা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাদের খুব আতঙ্কিত বলে মনে হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব কখনোই বলেননি যে, তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও তার টিমের সঙ্গে আমাদের মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে তারা কোনো নালিশ করতে যাননি, সরকারের সমালোচনা করতে যাননি।
Advertisement
নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নেই উল্লেখ করে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, ১৯৯১ সালের মতোই সংবিধানের বাইরে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ নির্বাচন হতে পারে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে যদি আপনারা নির্বাচনকালীন সরকার করতে রাজি হন, তাহলে আসুন সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করি।
তিনি বলেন, সংবিধান কোনোদিন বাঁধা হতে পারে না মানুষের কল্যাণের জন্য। কারণ সংবিধান মানুষের জন্য, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচন আপনাদের মনে আছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছিলেন। সেটা কী সংবিধানে ছিল? ছিল না। পরে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেটাকে বৈধ্যতা দেয়া হয়েছিল।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন খোকন, তেজগাঁও থানার সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান কবির, শাহবাগ থানার কৃষক দলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/জেডএ/এমএস
Advertisement