জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য সংখ্যা চারজন থেকে বাড়িয়ে আটজন করা হচ্ছে। এজন্য ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন-২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এটা আগে ইংরেজিতে ছিল, দ্য ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩। এটাকে বাংলায় রূপান্তর করে নিয়ে আসা হয়েছে। অল্প কিছু পরিবর্তন এখানে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে ছিল টেক্সটবুক, এটাকে বাংলায় করা হয়েছে পাঠ্যপুস্তক। আগে বোর্ডের গঠন ছিল চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্য। এখন প্রস্তাব করা হয়েছে একজন চেয়ারম্যান এবং বিষয়ভিত্তিক আটজন সদস্য। নয় সদস্য মিলে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
Advertisement
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সদস্যদের মধ্যে আগে কাজ ভাগ করে দেয়া ছিল না, এখন আটজন সদস্যের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা কাজ ভাগ করে দেয়া হয়েছে- পাঠ্যপুস্তক, প্রাথমিক শিক্ষাক্রম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম, মাদরাসা শিক্ষাক্রম, কারিগরি শিক্ষাক্রম, শিক্ষাক্রম (প্রশিক্ষণ), শিক্ষাক্রম (গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) এবং অর্থ।’
‘কোরাম হওয়ার জন্য পাঁচজনের মধ্যে তিনজন উপস্থিত হলেই হতো, এখন প্রস্তাব করা হয়েছে পাঁচজনের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।’
বোর্ডের কাজে দুটি বিষয় সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা। এটা নতুন প্রস্তাবনা। আরেকটি হচ্ছে- ডিজিটাল ও মিথস্ক্রিয়া পুস্তক প্রণয়ন ও অনুমোদন।’
শফিউল আলম বলেন, ‘বোর্ড কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অনুশাসন ও নির্দেশনার মাধ্যমে পরিচালনা হবে, এটাও নতুন।’
Advertisement
খসড়া আইনানুযায়ী বোর্ড প্রতিবছর ৩১ মার্চের মধ্যে সরকারের কাছে একটা রিপোর্ট দেবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা আগে ছিল না। নতুন করা হয়েছে।’
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দ্বারা বোর্ড পরিচালিত হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আইন চূড়ান্ত অনুমোদন
‘বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৮৪ সালের বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার অর্ডিন্যান্সকে সংশোধন করে নতুনভাবে নিয়ে আসা হয়েছে। বলতে গেলে তেমন বড় পরিবর্তন নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিপিএটিসির বোর্ড অব গভর্নেন্সের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে পদাধিকারবলে অন্তর্ভুক্ত করণের বিষয়টি এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আর তেমন নতুন প্রস্তাবনা নেই, আগে যা ছিল বলতে গেলে তাই।’
আরএমএম/জেএইচ/পিআর