বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে- নির্বাচনের আগে, চলাকালে এবং পরে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে অহিংস আচরণ করার আহ্বান জানাতে হবে। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, দেশ ও নাগরিকদের স্বার্থহানী করতে চায় সহিংসতা শুধু তাদেরই কাজে আসে।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের স্ট্রেংথেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের আওতায় ‘শান্তিতে বিজয়’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বার্নিকাট বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে থাকা একটি রাষ্ট্রের জন্য এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থকদের অবশ্যই নিজেদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ, প্রচারণা চালানো এবং ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়া শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে।
Advertisement
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইস্যু বা নীতির বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বৈধ অংশগ্রহণকারী এবং পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য নেতা হিসেবে মেনে নিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৃণমূলের ৪০ জেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা রাজনৈতিক সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সমর্থনে তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সহিংসতার বিরুদ্ধে অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এইউএ/আরএস/পিআর
Advertisement