মাশরুম নামের প্রাকৃতিক উপাদানটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনই যেমন সুস্বাদু। মাশরুমকে হালকা ফ্রাই করে বানানো কারি বা স্যুপ খাওয়া শুরু করলে শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে এক নয়, একাধিক রোগ দূরে পালায়।
Advertisement
আরও পড়ুন: বাজারের ভালো মাছ চিনবেন যেভাবে
সপ্তাহে ২-৩ দিন যদি নানা পদে মাশরুমকে ব্যবহার করা যায়, তাহলে শরীরে এর্গোথিয়েনাইন নামক একটি উপাদানের মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে, যার প্রভাবে সারা শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ রোগ ঘারে চেপে বসার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
২০১৭ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাশরুমে রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রবেশ করলে ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তেও সময় লাগে না।
Advertisement
লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে এবং শরীরের সচলতা বাড়াতে আয়রন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো নিয়মিত মাশরুম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কারণ এতে উপস্থিত কপার আয়রনের শোষণ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে এই খনিজটির ঘাটতি হাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
মাশরুমে বিটা-গ্লকেন এবং লাইনোলিক অ্যাসিড নামে দুটি উপাদান থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর কার্সিনোজেনিক গ্রোথ হতে দেয় না। সেইসঙ্গে শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদেরও বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও আসতে পারে না।
শরীরকে চালাতে যে যে পুষ্টিকর উপাদানগুলির প্রয়োজন পরে, তার বেশিরভাগই মজুত থাকে মাশরুমে। যেমন ভিটামিন ডি-এর কথাই ধরুন না। এই উপাদানটি শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে সচল রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া শুরু করলে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ঘাটতিও দূর হয়। ফলে সার্বিকভাবে শরীরের সচলতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
নানা কারণে রক্তচাপ কি খুব ওঠানামা করছে? তাহলে মাশরুম খান। কারণ মাশরুমে উপস্থিত পটাশিয়াম, শরীরের অন্দরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
Advertisement
আরও পড়ুন: যে কারণে ঢেঁড়স খাবেন
মাশরুমের ফাইবার এবং উপকারী এনজাইম শরীরে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল মাত্রা কমতে শুরু করে। অন্যদিকে বাড়তে শুরু করে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেইসঙ্গে কমে অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কাও।
এইচএন/পিআর