এডিস নামের এক প্রকারের মশার কামড়ে ডেঙ্গু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এই মশাটি ‘ইয়েলো ফিভার মসকুইটো’ নামেও পরিচিত। যখন এই মশা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে কামড়ায়, ডেঙ্গু ভাইরাস ওই মশাটির শরীরে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ওই মশাটি যদি অন্য কোনো ব্যক্তিকে কামড়ায়, সেও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। সাধারণত পৃথিবীর গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলিতেই এই রোগের প্রবণতা দেখা যায়। সৌভাগ্যক্রমে, এই রোগটি সরাসরি সংক্রামক রোগের মধ্যে পড়ে না। সাধারণত ডেঙ্গু রোগ দুই প্রকারের হয়- হালকা এবং তীব্র। হালকা বা মাইল্ড ডেঙ্গুতে রোগী জ্বর, ফুসকুড়ি, মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব করে। তীব্র ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে রক্তচাপের সমস্যা, রক্তপাত, রক্তস্রাবের মতো সাংঘাতিক সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন : অ্যাসিডিটি দূর করার সহজ উপায়
লক্ষণ:আকস্মিক জ্বর যা ক্রমশই প্রবল হয়ে ওঠে, ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত হওয়া, রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়া, জয়েন্ট বা মাংসপেশি সহসা দুর্বল হয়ে পড়া, ফুসকুড়ি জাতীয় ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়া, নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া, ঘনঘন মাথা ধরা বা বমির উদ্রেক হওয়া, মাংসগ্রন্থি ফুলে যাওয়া।
প্রতিরোধ:যথাযথ পোশাক হয়ে উঠতে পারে রোগের বিরুদ্ধে হাতিয়ার। এমন জায়গায় যাতায়াত করতে হয় যেখানে ডেঙ্গু মশার অস্তিত্ব আছে, যথাসম্ভব আপাদমস্তক নিজেকে মুড়েই যান। লম্বা প্যান্ট, লম্বা হাতার জামা, মোজা, টুপি ছাড়া সেখানে পা দেবেন না!
Advertisement
বাইরে বেরনোর আগে অবশ্যই মশা রেপেল্যান্ট ক্রিম গায়ে লাগাতে ভুলবেন না। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ক্রিমটিতে অন্তত ১০ শতাংশ ডাইথাইলটলুমাইড থাকে। এতে রেপেল্যান্ট ক্রীম আরও বেশি কার্যকরী হয়।
রাতে মশারি না খাটিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। কারণ রাতে না কামড়ালেও সূর্য ওঠার আধঘণ্টা পরের সময়টা এডিস মশাদের কামড়ানোর সময়।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দরজা-জানালা ভালো করে এঁটে দেবেন। পারলে জানালায় মসকুইটো রেপেল্যান্ট নেট বা স্ক্রিন ফিট করাতে পারেন।
আরও পড়ুন : হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে যা করবেন
Advertisement
তীব্র গন্ধযুক্ত সাবান বা পারফিউমের থেকে দূরে থাকাই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে তীব্র গন্ধে মশারা আকৃষ্ট হয়।
জামা, জুতোয় পার্মেথ্রিন ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।
একান্ত প্রয়োজন বোধ না করলে, সন্ধ্যার পরে বাইরে যাবেন না। যত রাত বাড়ে, মশাদের উপদ্রব ততই বাড়ে।
ঘন-ঘন পানি বদল করুন। বাসি পানিতে ভুলেও গোসল করতে যাবেন না।
এইচএন/এমএস