ক্যাম্পাস

গবেষণায় ফিরেছে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট

অবশেষে গবেষণায় ফিরেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট। দীর্ঘসময় গবেষণা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ফের গবেষণামুখী হয়েছেন ইনিস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া গবেষকরা। প্রকাশ করা হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির বিজ্ঞপ্তি।

Advertisement

গবেষকরা জানান, ইনিস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন তারা। এমফিল ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে ২২ সেপ্টেম্বর। অপরদিকে চলছে পিএইচডি গবেষণা কার্যক্রম। যদিও দীর্ঘসময় ইনিস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম চালু না থাকায় কেউ কেউ গবেষণাই বাদ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইনস্টিটিউটটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশ ও আচার্যের অনুমোদন নিয়ে ২০০৯ সালে ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ২০১১ সালের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই ইনস্টিটিউটে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি করানোর সিদ্ধান্ত হয়। গঠন করা হয় ইনস্টিটিউটের জন্য বোর্ড অব স্ট্যাডিজ। ২০১২ সালের মার্চ মাসে একটি জাতীয় দৈনিকে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম সিন্ডিকেটের সভায় আটটি বিভাগে (বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি, ম্যানেজমেন্ট, পদার্থ, রসায়ন, মার্কেটিং ও সমাজবিজ্ঞান) ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ১৫ জন এমফিল ও আটজন পিএইচডি কোর্সে আবেদনকারীর নাম, তাদের গবেষণার শিরোনাম ও তত্ত্বাবধায়কের নাম অনুমোদিত হয়।

Advertisement

পরবর্তীতে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের সিলেবাস প্রণয়নে অনীহা এবং নানা উদাসীনতায় মুখ থুবড়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির একমাত্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। তবে ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ দায়িত্ব নেয়ার পর নজর দেন গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতি। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর সিলেবাস প্রণয়নসহ নতুন করে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন।

ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, গত ২১ জুলাই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে দুই বছরের এমফিল কোর্সে ১৭টি বিষয়ে এবং তিন বছরের পিএইচডি কোর্সে ১৫টি বিষয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ভর্তিচ্ছুদের আবেদন করতে বলা হয় ২৯ জুলাই থেকে ২৭ আগস্টের মধ্যে। পরবর্তীতে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর।

ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানান, ইতোমধ্যে ৪৮ জন ভর্তিচ্ছু এমফিল কোর্সে ও ১৫ জন ভর্তিচ্ছু পিএইচডি কোর্সে ভর্তি আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইনস্টিটিউটের জন্য একটি স্বতন্ত্র ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ইনস্টিটিউটের সকল অচলাবস্থা নিরসন করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম এখন পুরোদমে চলছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে ইনস্টিটিউটটি প্রকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Advertisement

সজীব হোসাইন/এমএএস/জেআইএম