গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ওই বিভাগের এক ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার লিখিত আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন- গাঁজা খুব ভালো জিনিস, তাই তাকে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক। এছাড়া সোমবার নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
Advertisement
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪১ ব্যাচের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র (বর্তমানে ৪৩ ব্যাচের সঙ্গে অধ্যয়নরত) কিশোর কুমার দাস নামে এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এর আগেও ফেসবুকে এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। সে সময় তিনি তার ফেসবুক হ্যাকড হয়েছে দাবি করে দায় এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, তিন দিন আগে তাকে (কিশোর কুমার) বিভাগে গাঁজাসহ ধরেন শিক্ষকরা। ওইদিন তার পরীক্ষা ছিল। গাঁজা খাওয়া খারাপ কিছু না দাবি করে সে বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিতভাবে গাঁজা সেবনের অনুমতি চায়।
তিনি বলেন, পরে বিভাগ থেকে কিশোর কুমারকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়। আমরা তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছি। আজ আবার এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছে। এদিকে টিএসসির এক কর্মকর্তাও অসংলগ্ন আচরণের অভিযোগ এনেছেন তার বিরুদ্ধে।
Advertisement
প্রক্টর আরও বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে সে আর স্বাভাবিক নেই। তবে সে যা যা করেছে তা ছাত্র শৃঙ্খলাবিরোধী। ডিসিপ্লিনারি বোর্ড বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে।
কয়েক মাস আগে ফেসবুকের একটি গ্রুপে মেসেঞ্জারে তার অশালীন কথাবার্তার স্ক্রিনশট পোস্ট করেন অন্য বিভাগের এক ছাত্রী। ওই সময় আরও কয়েকজন ছাত্রী একই রকম বার্তা পেয়েছেন বলেন অভিযোগ তোলেন। নিজের প্রেমিকাকে ছাত্রী হলের সামনে মারধরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত কিশোর কুমার ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন কিশোর কুমার। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করলেও হল ছাড়েন তিনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সুস্বর’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন কিশোর কুমার। তবে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে কয়েকমাস আগে সংগঠনটি তাকে বহিষ্কার করে।
Advertisement
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কিশোর কুমার দাসের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
হাফিজুর রহমান/আরএআর/জেআইএম