ক্যাম্পাস

সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরও মারধর করে তারা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) র‍্যাগিংয়ে বাধা দেয়ায় মিনহাজুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের চার কর্মীর বিরুদ্ধে। লাঞ্ছিত সাংবাদিক দৈনিক আলোকিত বাংলদেশের চবি প্রতিনিধি ও চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য।

Advertisement

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান রূপক, একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আলী তানভীর, ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রাজীবুল আলম ও মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাহিম হোসাইন।

অভিযোগে বলা হয়, শহরগামী দুপুর দেড়টার ট্রেনে এক শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিং দেয়ার চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা। এ সময় সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম বাধা দিতে এগিয়ে আসলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

Advertisement

লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রেল স্টেশনে এক শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিং দেয়ার সময় আমি জানতে চাই কেন তাকে র‍্যাগিং দিচ্ছে। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরও মারধর করে তারা। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমি প্রক্টর স্যারকে বিষয়টি অবহিত করি। বিকেলে এ ঘটনায় সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চার ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও মাহমুদুল হাসান রূপক ছাড়া কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, সাংবাদিকের গায়ে আমি হাত তুলিনি। কাউকে র‍্যাগিং দেয়নি। এক জুনিয়র ছাত্রলীগ কর্মী সাংবাদিক মিনহাজকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে দেখেছি। কিন্তু তাকে চিনতে পারিনি।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল পরিস্থতি বিঘ্ন করার চেষ্টা করছে তারা।

Advertisement

প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী আরও বলেন, যারা একাধিকবার শাস্তি পাওয়ার পরও পুনরায় অপরাধ সংঘটিত করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/পিআর