তাকে কেউ ডাকে ‘স্যার’ বলে। কেউ বলে জাড্ডু। তিনি রবীন্দ্র জাদেজা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে সুযোগ পেয়েই জাদেজা বুঝিয়ে দিলেন, আগের ম্যাচগুলোতে তাকে দলে না নিয়ে মহা ভুল করে ফেলেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
Advertisement
কী বল হাতে, আর কী ব্যাট হাতে! দুর্দান্ত এক পারফরমার তিনি কেনিংটন ওভালে। বল হাতে একাই তিনি ঝড় তুলেছিলেন ইংল্যান্ডের ইনিংসে। নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। তাও জেনিংস, স্টোকস, বাটলারের মত ব্যাটসম্যানের। উইকেট নিয়েছে স্টুয়ার্ট ব্রডেরও। যিনি প্রথম ইনিংসে ৩৮ রান করে ভারতীয়দের জন্য দারুণ সমস্যা তৈরি করেছিলেন।
বল হাতে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, ব্যাট হাতেও ছিল তার ধারাবাহিকতা। দ্বিতীয়দিনই ১৭৪ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। বিরাট কোহলি ৪৯ রানে আউট হয়ে যাওয়ার কারণে ভারতীয়রা ধরে নিয়েছিল দারুণ বিপর্যয়ে পড়তে যাচ্ছে তারা। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেই ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন জাদেজা। ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ২৫ রান নিয়ে ছিলেন হনুমা বিহারি।
তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে জাদেজা আর হনুমা বিহারির জুটিই দারুণ শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায় স্বাগতিক ইংলিশ বোলারদের জন্য। দু’জন মিলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন। অভিষিক্ত হনুমা বিহারী অভিষেকেই নিজের জাত বুঝিয়ে দিলেন। ১২৪ বল মোকাবেলা করে খেলেন ৫৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
Advertisement
তবে রবীন্দ্র জাদেজা ছিলেন তার চেয়েও দায়িত্বশীল এবং আগ্রাসী। ১৫৬ বল মোকাবেলা করে তিনি শেষ পর্যন্ত ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যরা সবাই আউট হয়ে গেলেও জাদেজার উইকেট নিতে পারেননি কোনো ইংলিশ বোলার।
জাদেজার বীরোচিত ইনিংসের কারণেই শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ২৯২ রান করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। না হয়, প্রথম ইনিংসেই বড় রানের নিচে চাপা পড়তে হতো ভারতকে। জাদেজার ৮৬ এবং হনুমা বিহারির ৫৬ রানই বাঁচিয়ে দিলো বিরাট কোহলির দলকে। তবুও, ৪০ রান পেছনে থাকতে হয় তাদেরকে। অর্থ্যাৎ, প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড লিড নিতে পেরেছে কেবল ৪০ রানের।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট করে নেন জেমস অ্যান্ডারসন, বেন স্টোকস এবং মঈন আলি। ১ উইকেট করে নেন স্টুয়ার্ট ব্রড, স্যাম কুরান এবং আদিল রশিদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রান ৯ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২০। ১৩ রান নিয়ে অ্যালিস্টার কুক এবং ৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন কিটন জেনিংস।
আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement