দীর্ঘ ২৪ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৬৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ভারতীয় ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। তার ব্যাট থেকে এসেছে রেকর্ড ৪৯টি সেঞ্চুরিও। কিন্তু এই ৪৯ সেঞ্চুরির প্রথমটি পেতেই শচীনকে অপেক্ষা করতে হয়েছে পাঁচটি বছর, খেলতে হয়েছে ৭৮টি ম্যাচ।
Advertisement
ক্রিকেটের ঈশ্বর খ্যাত শচীনের দীর্ঘ পাঁচ বছর ও ৭৮ ম্যাচের অপেক্ষার অবসান ঘটেছিল আজ থেকে ঠিক দুই যুগ আগে, ১৯৯৪ সালের আজকের তারিখেই। ১৯৮৯ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে নাম লেখানো শচীন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ৭৮ ম্যাচে ১৭ বার পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন। কিন্তু তিন অঙ্কের সাথে দেখা হচ্ছিল না তার। ততদিনে টেস্ট ক্রিকেটে পেয়ে গিয়েছিলেন ৭টি সেঞ্চুরি, কিন্তু পাওয়া হয়নি সাদা বলের ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দেখা।
অবশেষে ১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে নিজের ক্যারিয়ারের ৭৯তম ওয়ানডেতে এসে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান শচীন। প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। শচীনের প্রথম সেঞ্চুরির কল্যাণেই সেদিন ৩১ রানের জয় পেয়েছিল ভারত, ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতেছিলেন ২১ বছর বয়সী শচীন।
ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন। ইনিংসের সূচনা করতে নেমে অজি বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন শচীন। মাত্র ৪৩ বলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি। পঞ্চাশ করার পরে রয়ে সয়ে খেলতে শুরু করেন তিনি। হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার ছোঁয়ার এটিই সুযোগ।
Advertisement
যার ফলে মাত্র ৪৩ বলে অর্ধশতক পূরণ করা শচীন পরের পঞ্চাশ করতে খেলেন আরও ৭৬টি বল। ১১৯ বলে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি। ৮ চার ও ২ ছক্কার মারে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্নের বলে স্কয়ার কাট করে নিজের ১০০তম রানটি নেন শচীন। শেষপর্যন্ত ১৩০ বলের ইনিংসে ১১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন শচীন। ভারতের ইনিংস থামে ২৪৬ রানে।
যা তাড়া করতে নেমে ২১৫ রানেই থেমেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতেই দলের জয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার জেতেন শচীন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। একই বছরে করেন আরও ২টি সেঞ্চুরি। সবমিলিয়ে পুরো ক্যারিয়ারে করেন ৪৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি। যা এখনো টিকে রয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেট সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড হিসেবে।
এসএএস/এমএস
Advertisement