বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শিগগিরই নতুন তিনটি আন্তর্জাতিক রুট চালু করছে। ঢাকা-গোয়াংজু-ঢাকা, ঢাকা-কলম্বো-ঢাকা এবং ঢাকা-মালে-ঢাকা। ইতোমধ্যে বিমান বহরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার যুক্ত হচ্ছে এবং বিমানের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়ছে।
Advertisement
একই সঙ্গে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের এভিয়েশন খাত। বাড়ছে সেবার পরিধি ও মান। ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও নিকট ভবিষ্যতে চলবে সম্ভাবনার বড় রুটে। বড় রুটের সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে নিউইয়র্ক, টরেন্টো ও রোম। বিমানের কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ জাগো নিউজে বলেন, বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার ফলে নতুন রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে এবং আমাদের চলমান বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট বৃদ্ধি করা হবে। নতুন বিমান সম্পর্কে তিনি বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ায় খরচ কমবে, মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। সেই চুক্তির আওতায় ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ছয়টি বিমান।
বাকি চারটি বিমান হলো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি বিমান বহরে যুক্ত হলো। বাকি তিনটি বিমানের একটি এ বছর নভেম্বরে এবং সর্বশেষ দুটি আসবে আগামী বছর সেপ্টেম্বরে। এছাড়া ২০২০ সালে বোম্বাডিয়ার তৈরি ৩টি নতুন ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, বিমানের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়ছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া রুটগুলো খোলার বিষয়ে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে রুট খুললেই হবে না। এর সঙ্গে বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয়গুলোও বিবেচনায় রেখে পদক্ষেপ নিতে হয়।
চুক্তির ৫ বছরেও চালু করা যায়নি ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে সরাসরি ফ্লাইট। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে আসে নিষেধাজ্ঞা। সম্প্রতি ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও বিমানবন্দরের ক্যাটাগরি মানোন্নয়ন হয়নি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএএ-এর ক্যাটাগরি-একে মানোন্নয়ন পেতে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রথম অডিট। এ বিষয়ে ইতিবাচক খবর আসতে পারে আগামী বছরের শুরুতে। ১৯৯৩ সালে ঢাকা থেকে আমস্টারডাম হয়ে নিউইয়র্কে ফ্লাইট শুরু করে বাংলাদেশ বিমান। পরে ডিসি ১০ উড়োজাহাজ ব্যবহার করে সপ্তাহে তিনদিন ঢাকা থেকে দুবাই এবং ব্রাসেলস হয়ে নিউইয়র্ক যাচ্ছিল রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি।
২০০৬ সালে ক্যাটাগরি-২-এ অবনমন হাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট। ২০১৩-এর আগস্টে আবারও ফ্লাইট শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচল চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটির চাহিদা অনুযায়ী নিরাপত্তা বাড়ানোসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
আরএম/এমআরএম/জেআইএম