ভবিষ্যতে বিদেশি কোনও রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় যুদ্ধে লড়াই করবে না পাকিস্তান। তার কাছে দেশের স্বার্থই সবার আগে। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিণ্ডিতে সেনা শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
Advertisement
একই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পৃথিবীর অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এত আত্মত্যাগ করেনি।
সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করলেও ইমরানের এই মন্তব্য আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশে বার্তা বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন স্বার্থ দেখছে না পাকিস্তান। বেশ কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ জানিয়ে আসছে হোয়াইট হাউস।
গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য বাতিল করার কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের হটাতে পাকিস্তানের সাহায্য দরকার যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু পাক সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে সেই লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে নেই। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া টাকায় পাক সেনাদের মদতে রমরমিয়ে চলছে সন্ত্রাসের বিভিন্ন ঘাঁটি।
Advertisement
পাক আফগান সীমান্তে গজিয়ে ওঠা সন্ত্রাসের ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা বরাবরই মার্কিন বিদেশনীতির অংশ। যে কারণে ইসলামাবাদকে যথেষ্ট আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দিয়ে থাকে ওয়াশিংটন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন সময় ইমরানের মন্তব্যে স্পষ্ট, যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথে আর হাঁটতে নারাজ পাকিস্তান।
টিটিএন/পিআর