ধর্ম

যে সময় নামাজ ও মৃতব্যক্তির দাফন নিষিদ্ধ

সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়া, মৃতব্যক্তির দাফন দেয়া এবং বিবাহের উপযুক্ত হলে মেয়ের বিয়ে দেয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ এসেছে। আর তাতে রয়েছে অনেক ফজিলত ও সাওয়াব। এ গুরুত্বারোপের পর নামাজ ও মৃতব্যক্তির দাফনের ব্যাপারে নির্দিষ্ট ৩ সময়ে তা করতে নিষেধ করা হয়েছে।

Advertisement

হজরত উক্বাহ ইবনে আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এমন ৩টি সময় রয়েছে, যে সময় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ আদায় করতে এবং মৃতব্যক্তিকে কবর দিতে নিষেধ করেছেন। আর তাহলো-

> সূর্য উজ্জ্বল হয়ে ওঠা থেকে কিছুটা ওপরে ওঠা পর্যন্ত;> ঠিক দুপুর হলে, যে পর্যন্ত না সূর্য (পশ্চিম আকাশে) ঝুঁকে পড়ে এবং> সূর্য যখন অস্ত যাওয়ার সময়ে উপক্রম হয়।’ (মুসলিম)

অন্য হাদিসে নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে এসেছে-

Advertisement

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ফজরের নামাজের পর থেকে সুর্যোদয় পর্যন্ত ফজরের নামাজ ব্যতিত অন্য কোনো নামাজ নেই। আর আসরের নামাজের পরেও সূর্য ডোবা পর্যন্ত কোনো নামাজ নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)

আরও পড়ুন > তাহাজ্জুদ না পড়েও নামাজের সাওয়াব পাবেন যারা

তবে হাদিসের বর্ণনা থেকে বুঝা যে, ওই ওয়াক্তের ফরজের ক্ষেত্রে সূর্য ওঠা কিংবা ডোবার আগে যদি কেউ এক রাকাআত নামাজও পায় তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তাই নির্ধারিত উভয় ওয়াক্তের নামাজের সময় ফরজ নামাজ শেষ মুহূর্তেও পড়া যাবে।

সুতরাং উল্লেখিত ৩ সময়ে ওই ওয়াক্তের ফরজ নামাজ ব্যতিত অন্য ফরজ, সুন্নাত ও নফল নামাজ এবং মৃতব্যক্তিকে দাফন করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে নামাজসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। প্রিয়নবির হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর