উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি থামার পেছনে চীনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনা বাড়ার মধ্যেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক জটিল করে তুলছে চীন।
Advertisement
কয়েক দফা টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া নতুন করে শুরু করা ঠিক হবে না। গত কয়েক বছর ধরেই এটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে উত্তর কোরিয়া। অথচ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া অব্যাহত রাখা হতে পারে বলে কয়েকদিন ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে চীনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিরস্ত্রীকরণে পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকাণ্ড যথেষ্ঠ নয়। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক উত্তেজনার কারণে চীনও উত্তর কোরিয়াকে যথেষ্ঠ চাপ দিচ্ছে না।
গত জুনে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেছিলেন উত্তর কোরিয়া আর পরমাণু হুমকির দেশ নেই।
Advertisement
তাছাড়া ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়া গোপনে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ করছে। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক শুরু হয়।
এসব প্রতিবন্ধকতার জন্য ট্রাম্প সরাসরি চীনকে দায়ী করেছেন। তবে এক টুইটে তিনি চীন ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন।
এদিকে কয়েকদিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উত্তর কোরিয়ায় সফর বাতিল করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে উত্তর কোরিয়ার নতুন দূত স্টিফেন বেইজুন ফোর্ডের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা ছিল। এটা হতো তার চতুর্থ সফর। তবে এই সফরে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার সাক্ষাত হওয়ার কথা ছিল না।
টিটিএন/পিআর
Advertisement