যুক্তরাষ্ট্রকে সামাল দেয়াই এখন ইমরানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ইমরান খান ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর মধ্যে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। তারা দু'জন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করলেও দু'দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক টানাপড়েন ছিল তা অব্যাহত রয়েছে।
Advertisement
ওই আলোচনার পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসীরা তৎপর রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধ ইসলামাবাদকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাকিস্তানের উর্দু দৈনিক উম্মাতের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে স্বাধীন নীতি অনুসরণ করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার মার্কিন আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে।
পত্রিকাটি বলেছে, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের জোরদার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে আমেরিকা; এজন্য ওয়াশিংটন চাপ সৃষ্টির নীতি গ্রহণ করেছে।
Advertisement
পাক পররাষ্ট্র দপ্তর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতি নাকচ করেছে। দৈনিক উম্মাত বলছে, মার্কিন সরকারের বিবৃতি থেকে পরিষ্কার হয় যে, পাকিস্তানকে স্বাধীন নীতি অনুসরণ করা থেকে বিরত রাখতে ওয়াশিংটন ইচ্ছা করেই এমন বিবৃতি দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইমরান খানের নতুন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমেরিকাকে সামাল দেয়া। কীভাবে তিনি মার্কিন চাপ সামলাবেন সেটাই হবে তার জন্য আসল পরীক্ষা।
টিটিএন/পিআর
Advertisement