প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নিজের মাতৃভূমিতে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বসবাস করবেন। অামি মনে করি আমাদের এই ভূখণ্ডে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে বসবাস করবেন; যার যার অধিকার নিয়ে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মঙ্গলবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফুলের তোড়া দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিলন কান্তি দত্ত, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন পাল, বিমল কান্তি দে, মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ দে, দেবাশিষ পালিত ও সুব্রত পাল বক্তৃতা করেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আগত হিন্দু পুরোহিত ও মহারাজসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দুদের অধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অাপনাদের সেই অধিকারটা ভোগের জন্য যা যা করবার দরকার, সুযোগ-সুবিধা দরকার- সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব শান্তিপূর্ণভাবে করে যাচ্ছে। যেন সম্মানজনকভাবে, সকলে যেন যার যার ধর্ম পালন করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নিজের যোগ্যতায় আপনারা আপনাদের স্থান করে নেবেন। আপনাদের সবসময় এই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে, এই মাটিটা আপনাদেরও। আপনি-আমি বলে কিছু নাই।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশে যারাই বসবাস করেন, যারাই নাগরিক; প্রত্যেকটা নাগরিকের সমান অধিকার। সেই অধিকার সর্বক্ষেত্রে- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্র, শিক্ষার ক্ষেত্রে, চিকিৎসার ক্ষেত্র, আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে..সর্বক্ষেত্রে, ধর্মপালনের ক্ষেত্রে সমান অধিকার আপনারা ভোগ করবেন; সেটাই আমরা করতে চাই। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা.. আমি মনে করি, যেহেতু সরকারে আছি এটা আমাদের দায়িত্ব।
Advertisement
মুক্তিযুদ্ধে সবধর্মের মানুষের অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ আমরা এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এই দেশ সকলের জন্য, সকল ধর্মের মানুষের জন্য। প্রত্যেকের আর্থ-সামাজিক উন্নতি- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
এফএইচএস/বিএ