নাম তার রামপ্রকাশ চৌহান। কিন্তু সেই নাম বদলে নিজেই নিজের নাম রেখেছিলেন ‘চুমু বাবা’। নিজেকে দেবতা ‘বিষ্ণু’র আশীর্বাদপ্রাপ্ত বলে দাবি করেন তিনি। এই বাবার দাবি, বিষ্ণুর মহান কৃপায় তার ‘চমৎকারী চুম্বনে’ নারীদের শারীরিক-মানসিক সব রোগ সারাতে পারেন তিনি। মেটাতে পারেন দাম্পত্য সমস্যা।
Advertisement
শুধু তাই নয়, নিজেকে তিনি মেয়েদের সমস্যা মেটানোর ‘জাদুকর’ হিসেবে দাবি করে খুলে বসেছিলেন আশ্রম। সেই আশ্রমে আসতেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারী ভক্ত। উদ্দেশ্য চুমু বাবার চুম্বনে নিজেদের রোগ-বালাই সারানো।
তবে এ বাবাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে ভারতের আসাম প্রদেশের মরিগাঁও পুলিশ। মধ্য অাসামের মরিগাঁও জেলার ভরালটুপ গ্রামে আশ্রম খুলেছিলেন তিনি। এক মাসে নিজ বাড়িতে খোলা তার এই আশ্রমে আসতেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের নারী ও তরুণীরা।
গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল তার খ্যাতি। আসামের এই এলাকায় শতাব্দি প্রাচীন কাল থেকে কুসংস্কারে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে একটু বেশি। সেই সুযোগ লুফে নিয়েছিলেন চুমুবাবা।
Advertisement
চুমু বাবা ওরফে রামপ্রকাশ চৌহানের এই ঐশ্বরিক ক্ষমতা গ্রামে ছড়াতে সহায়তা করেছেন তার মা। পুলিশ আসামের এই বাবার মাকেও জিজ্ঞাসবাদ করেছে।
সম্প্রতি প্রতারক এই বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে, ঐশ্বরিক চুম্বনে রোগ সারানোর নামে নারীদের জড়িয়ে ধরে তিনি চুমু দিতেন; যা শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। স্থানীয় কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে বাবার এই অদ্ভূত চুম্বনের আড়ালে যৌন-লালসা চরিতার্থ করার অভিযোগ নিয়ে খবর প্রকাশ হয়।
খবরে দেখানো হয় গোপনে ধারণ করা চুমু বাবার চুমুর দৃশ্য। গণমাধ্যমে এই খবর দেখেই নড়েচড়ে বসে মরিগাঁও জেলা পুলিশ। আর তাতেই বাবার হাতে পড়ে হাতকড়া; আশ্রয় হয় কারাগারে।
সূত্র : এনডিটিভি, ডেক্যান ক্রোনিক্যাল।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম