সবুজ পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের শহর বান্দরবান। প্রকৃতির কোলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ‘পাহাড়ি কন্যা’ খ্যাত বান্দরবানে ভিড় করেছেন পর্যটকরা।
Advertisement
হাজারো পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে ‘পাহাড়ি কন্যা’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি দেখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন পর্যটকরা।
পর্যটকরা ঘুরে দেখছেন বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির, শৈলপ্রপাত ও নীলগীরি। এবারের ঈদে পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখে আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটক মুগ্ধ হয়ে ঘুরেছেন পাড়ার কন্যার বুকে। কেউ এসেছেন সপরিবার নিয়ে আবার কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে।
Advertisement
ঈদের দিন থেকেই মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, নীল দিগন্ত, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, প্রান্তিক লেক, ন্যাচারাল পার্ক, বগা লেক, নাফাকুম, রিজুক ঝরনাসহ প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বিপুল পর্যটক দেখা যায়।
বান্দরবানের নীলাচলের পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে আসা সাইফুল আলম বলেন, এখানকার সবুজঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি এবং আমার পরিবার মুগ্ধ। পাহাড়ের মাঝখানে পাহাড়িদের ছোট ছোট ঘরগুলো আমাদের বেশি মুগ্ধ করেছে।
বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে আসা সেলিনা হোসেন বলেন, পাহাড় দেখতে অনেক সুন্দর। চারপাশের মেঘের আনাগোনা আর সবুজ পাহাড় দেখে মন ভরে গেছে।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার আদিত বড়ুয়া বলেন, ঈদের তৃতীয় দিনে প্রায় ছয় হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পর্যটক অনেক বেশি।
Advertisement
পর্যটকদের আগমনে খুশি পর্যটননির্ভর ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। শহরের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলো এখন লোকারণ্য। পর্যটক বরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই।
বান্দরবানের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই হোটেল-মোটেল সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনো বুকিংয়ের অর্ডার পাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেয়া আছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সাদা পোশাকধারী পুলিশের সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশও কাজ করছে।
সৈকত দাশ/এএম/এমএস