দলের নেতৃত্ব ধরে রাখার লড়াইয়ে বিপাকে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। অস্ট্রেলিয়ার সরকার এবং দেশটির রাজনীতিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
Advertisement
দলের নেতৃত্ব থেকে টার্নবুলকে সরে যাওয়ার জন্য তার নিজ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের চাপের মুখে রয়েছেন তিনি। তবে দলের নেতৃত্ব ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন টার্নবুল।
এক ঘোষণায় টার্নবুল বলেন, তিনি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন যদি তার বিরোধীরা যথেষ্ঠ সমর্থন অর্জন করতে পারে তবেই।
এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সংসদ মুলতবি ঘোষণা করা হয়। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদ মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। পক্ষে ৭০টি এবং বিপক্ষে ৬৮টি ভোট পড়েছে।
Advertisement
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে টার্নবুল বলেন, আজ জাতীয় পার্লামেন্টে যা ঘটেছে তা দেখে অস্ট্রেলিয়ানরা ভীত। তার বিরুদ্ধে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা পাগলামী ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে শুক্রবার নাগাদ এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী টার্নবুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার বিরুদ্ধে অযোগ্যতার দাবি তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন। বৃহস্পতিবার ডাটন ঘোষণা দেন যে, তিনি দ্বিতীয়বারের মতো টার্নবুলকে চ্যালেঞ্জ করবেন।
টার্নবুলের সরকারের প্রায় ১২ জন মন্ত্রী এ পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন। সবার প্রথমে পদত্যাগপত্র জমা দেন মাইকেল সুকার। যারা পদত্যাগ করেছেন তারা সবাই পিটার ডাটনের পক্ষ হয়ে প্রধানমন্ত্রী টার্নবুলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
টার্নবুলকে চ্যালেঞ্জ করলেও হেরে গেছেন ডাটন। ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির দলীয় কার্যালয়ে টার্নবুলের নেতৃত্বের বিষয়ে ভোটাভুটি হয়। ভোটের ফলাফলে অল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাননি টার্নবুল।
Advertisement
৪৮-৩৫ ভোটে হেরে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ডাটন। তবে ডাটনের দাবি মন্ত্রীসভার অধিকাংশই এখন আর টার্নবুলের নেতৃত্ব চান না। তিনি একটি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন যেখানে তিনি টার্নবুলের নেতৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
টিটিএন/এমএস