জাতীয়

চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি গরুর

রাজধানীর হাজারীবাগ পশুর হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরু বেশি আনা হয়েছে। ব্যাপারীরা বললেন, বড় গরুর গ্রাহক কম। তাছাড়া বড় গরুর ঝুঁকি বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে বড় গরু আনতে খুব অসুবিধা। ট্রাকের মধ্যে পড়ে গিয়ে পা ভাঙার সম্ভাবনা থাকে। ফলে বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুতে ঝুঁকি কম, লাভ তুলনামূলক বেশি।

Advertisement

শুক্রবার প্রায় আড়াই কিলোমিটার আয়তনের এ হাট ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেল, ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি। যে ট্রাকগুলো থেকে গরু নামানো হচ্ছিল সেগুলোও মাঝারি মানের।

নাটোর গুরুদাসপুর থেকে এসেছেন গরুর ব্যাপারী বরকত। তিনি এবার ২০টি গরু এনেছেন এই হাটে। আশা করছেন ২০টি গরু বিক্রি করে দুই লাখ টাকা লাভ করবেন। গত বছর ১৫টি গরু এনেছিলেন এই বাজারে। যদিও সেবার গরু বিক্রি করে ৭০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছিল তার।

শুধু গরু উঠেছে এ হাটে। ছাগল, মহিষ, ভেড়া শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উঠেনি। তবে ইজারাদাররা বলছেন, আগামী দুদিনের মধ্যে এই হাট ভরে যাবে পশু দিয়ে। ছাগল, ভেড়া সবই আসবে। গত বছর প্রায় ৫০ হাজার পশু বেচাকেনা হয় এ হাটে। এবার আরও বেশি হবে বলে তারা আশা করছেন।

Advertisement

হাজারীবাগ হাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুসা হাসান জাগো নিউজকে বলেন, এই পশুর হাটের পরিধি লেদার কলেজ এলাকা থেকে শুরু করে হাজারীবাগ বাজারের সব রাস্তা, কালু নগরের সব রাস্তা এবং বেড়ী বাঁধের মুখ পর্যন্ত। সব মিলে হাটের আয়তন প্রায় আড়াই কিলোমিটার। আগামী দুদিনের মধ্যে পুরো হাটে পশু দেখতে পাবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাজারীবাগ হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এ কারণে এই হাটে মাঝারি ও ছোট গরু বেশি আনা হয়েছে।

এ হাটের ইজারাদারের ছোট ভাই মো. জুবায়ের হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, হাজারীবাগ হাটে ব্যাপারীদের থাকা-খাওয়া, পানি, গোসল, গরুর খাবারসহ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। অসংখ্য সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। জালটাকা শনাক্তে মেশিন বসানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিজেদের উদ্যোগে চিকিৎসক নিয়ে আসা হয়েছে। গরুর প্রাথমিক চিকিৎসার টাকা হাট কর্তৃপক্ষ বহন করছে। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে পশুর চিকিৎসক থাকার কথা থাকলে এখন পর্যন্ত তারা আসেনিন। এফএইচএস/জেডএ/এমএস

Advertisement