জুমার নামাজের পর হজযাত্রী নুরুল ইসলাম খেতে আসেন দেশীয় একটি বাংলা হোটেলে। দেশটিতে বাংলাদেশি খাবারের কমতি নেই। বাংলাদেশিদের জন্য খাবারের সুব্যবস্থাও রয়েছে। তবে, হোটেলের ভেতর ও বাহিরে খাবার নেয়ার জন্য হজযাত্রীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। আবার অনেকে পার্সেলের জন্যও থাকছে বহুসময় ধরে। এ যেন দেশীয় খাবারে নজর কেড়েছে হাজিদের।
Advertisement
সপ্তাহখানেক আগেও হোটেল বয়রা জামাই আদরে ডাকাডাকি করলেও আজ বয়দের ফিরে তাকানোরও সময় নেই। পবিত্র হজ পালনে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সোয়া লাখেরও বেশি বাংলাদেশি হজযাত্রীর সবাই এখন মক্কা নগরীতে অবস্থান করছেন।
একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির আগমনের কারণে মক্কার কাবা শরিফের আশপাশে বিভিন্ন হোটেলের ওপর অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ভিড় সামলাতে রেস্টুরেন্টের মালিক কর্মচারীদের গলদগর্ম পোহাতে হচ্ছে। কাবা শরিফের আশপাশে ঢাকা হোটেল, চিটাগাং হোটেল, সাউথ এশিয়াও এশিয়াসহ বিভিন্ন বাংলা হোটেলের ছড়াছড়ি।
Advertisement
সকালের নাস্তা রুটি ও ডাল ও রুটি ও ভাজি, ভর্তা ৪ থেকে ৫ রিয়াল, রুটির সঙ্গে গরু কিংবা খাসির মাংস ৮/৯ রিয়াল, দুপুরে ভাতের রুই, বোয়াল, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন মাছ, গরু, খাসি কিংবা মুরগীর মাংস ৯ থেকে ১২ রিয়াল মূল্যে পাওয়া যায়।
তবে একজনের জন্য নেয়া খাবার দু'জন অনায়াসে খাওয়া যায়। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বেশিরভাগই এ প্রক্রিয়ায় তিন চারজন মিলে বিভিন্ন আইটেমের স্বাদ গ্রহণ করে।
এমইউ/এমআরএম/এমএস
Advertisement