আন্তর্জাতিক

আজানে শব্দদূষণ কি না, জানতে চায় ভারতের পরিবেশ আদালত

চার মাস আগে হনুমান জয়ন্তী পালন করতে মোটরবাইক মিছিল করে দিল্লির রাস্তায় নেমেছিল অখণ্ড ভারত মোর্চা। মসজিদের সামনে গিয়ে, অস্ত্রশস্ত্র হাতে স্লোগান তুলে গণ্ডগোল বাধানোর অভিযোগে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত এখনও চলছে।

Advertisement

সেই অখণ্ড ভারত মোর্চার অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত এবার নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব দিল্লির সাতটি মসজিদ থেকে আজানের শব্দে শব্দদূষণ হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। অখণ্ড মোর্চার অভিযোগ ছিল, পরিবেশ রক্ষা আইন ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি ভেঙে ওই মসজিদগুলি আজানের সময় লাউডস্পিকার বাজাচ্ছে।

বিচারপতি আদর্শকুমার গয়ালের নেতৃত্বাধীন পরিবেশ আদালতের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ও দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে শব্দদূষণ যাচাইয়ের কাজটি করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মধ্যে যাতে লাউডস্পিকার বাজানো হয় তা দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশকে।

আদালতের এই নির্দেশ পেয়ে অবশ্য বেশ উল্লসিত মোর্চার সভাপতি সন্দীপ আহুজা। তিনি বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যা করার করবে। তার সঙ্গে আমরাও পরীক্ষা করতে নামব। সোজা ১০০ নম্বরে ফোন করে আজানের আওয়াজ শুনিয়ে দেব।

Advertisement

বিধি অনুযায়ী, হাসপাতাল-স্কুলের মতো সাইলেন্স জোনে লাউডস্পিকারের নির্ধারিত মাত্রা দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল, রাতে ৪০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৫৫ ডেসিবেল ও ৪৫ ডেসিবেল। অখণ্ড মোর্চার আইনজীবী রাহুলরাজ মালিক আদালতে অভিযোগ করে বলেন, অনেক মসজিদের কাছেই স্কুল এবং হাসপাতাল রয়েছে।

১৯৯৮ সালে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ বৈকুণ্ঠলাল শর্মা অখণ্ড ভারত মোর্চা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতি বছরই হনুমান জয়ন্তীতে বজরং সশক্ত র‌্যালি বের করে মোর্চা। সন্দীপ আহুজার দাবি, হিন্দুদের অনুষ্ঠানেও স্পিকার বাজে। এর জন্য অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু মুসলিমরা অনুমতি ছাড়াই দিনে পাঁচবার লাউডস্পিকার বাজান। আইন সকলের জন্যই এক হওয়া উচিত। এজন্যই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দাবি তুলেছি।

টিটিএন/জেআইএম

Advertisement