>> বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ>> আন্তঃজেলা বাস সার্ভিসগুলোতে বাড়ছে ভিড়>> ১৪ আগস্ট থেকে ঈদযাত্রা শুরু
Advertisement
কাঙ্ক্ষিত টিকিটপ্রাপ্তির যুদ্ধ শেষ হয়েছে। অনেকে পেয়েছেন আবার অনেকে ভালোমানের পরিবহনে টিকিট না পেয়ে এখন ধরনা দিচ্ছেন আন্তঃজেলা বাস সার্ভিসগুলোর কাউন্টারে।
২১ অথবা ২২ আগস্ট, ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন ধরে প্রতি বছরের মতো এবারও ১৫ দিন আগে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। গত ৭ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিনদিন বিক্রি হয়েছে বাসের অগ্রিম টিকিট। রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী, কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনালে টিকিটপ্রত্যাশীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, হানিফ, শ্যামলী, এসআর কিংবা ডিপজলের মতো পরিবহনগুলোর সব রুটের টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। ফলে টিকিটপ্রত্যাশীরা এখন ছুটছেন আঞ্চলিক বাস কাউন্টারগুলোতে।
Advertisement
গাবতলী আন্তঃজেলা পরিবহন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঈদে অধিকাংশ যাত্রীর সর্বশেষ ভরসা তাদের পরিবহনগুলোতে। এসব পরিবহনের গুণগত মানও ভালো। গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সামনের সড়কে দেখা যায় শত শত বাস সারিবদ্ধ রাখা হয়েছে। কাউন্টার কিংবা রাস্তায় বাসের হেলপাররা হাকডাক দিচ্ছেন। টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়ও যথেষ্ট।
টিকিট নিতে আসা যাত্রীরা বলছেন, হানিফ-শ্যামলীর কাউন্টারে ভিড় করেও মেলেনি টিকিট। নেটওয়ার্ক ইরর দেখায় টিকিট কাটা সম্ভব হয়নি। অনেকে ব্যস্ততার কারণে কাউন্টারে যেতে পারেননি। এ কারণে আন্তজেলায় চলাচলরত পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে তারা ভিড় করছেন।
সরেজমিন গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, জেআর, এসবি, সাদ সুপার ডিলাক্স, একে ট্রাভেল্স, সৌহার্দ্য পরিবহন, শুভ বসুন্ধরা, সাউদিয়া, কমফোর্ট লাইন, ইসলাম, সুরভী, এসপি ট্রান্সপোর্ট, কালিগঞ্জ এক্সপ্রেস, দর্শনা, বলাকা, জাকের দিগন্ত, গোল্ডেনলাইন, ঈগল, সেবা, সুবর্ণ, রাজবাড়ী, সাউথ লাইন, বিকাশ পরিবহন, রাবেয়া, সোহাগ, রয়েল, পূর্বাশাসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ রুটের অসংখ্য পরিবহনে মিলছে কাঙ্ক্ষিত টিকিট। কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিটও মিলছে এসব কাউন্টারে। টিকিট পেয়ে হাসিমুখে ফিরতে দেখা যায় অনেককে।
হানিফ কাউন্টারের সামনে কথা হয় পঞ্চগড়ের টিকিটপ্রত্যাশী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাইনি। আবার অনেক কথিত ভিআইপি ঘরে বসেই টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছেন। তাদের কারণে এখন আমরা টিকিট পাচ্ছি না। যে কারণে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারে যাচ্ছি। সেখানে আঞ্চলিক বাসের টিকিট নিতে হবে।’
Advertisement
কুষ্টিয়ার রাব্বি মিয়া বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও শ্যামলী কিংবা হানিফে টিকিট পাইনি। বাধ্য হয়ে রাবেয়া পরিবহনের টিকিট কাটা। নির্ধারিত সময়ের চেয়েও বেশি সময় লাগবে এ পরিবহনে। সুস্থভাবে গন্তব্যে ফিরতে পারলেই বাঁচি।’
ঈগল পরিবহনের টিকিটবিক্রেতা সুলেমান আলী জানান, ‘রংপুর, দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবার বাসের মান উন্নত করা হয়েছে। নতুন বাস নামানো হয়েছে। যাত্রীও মিলছে পর্যাপ্ত।’
এসপি ট্রান্সপোর্ট কাউন্টারের টিকিটবিক্রেতা আতাউর রহমান বলেন, ঈদে সব সময় চাপ থাকে বড় বাসগুলোতে। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় তাদের সে পরিমাণ সিটের ক্যাপাসিটি নেই। যে কারণে আমাদের পরিবহনগুলোতে প্রচুর যাত্রী বহন করতে হয়। ঝালকাঠি-বরগুনার যাত্রীরা প্রথম থেকে আমাদের কাউন্টারে ভিড় করছেন।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কিছুই করার নেই। আমরা চাইলেও একই দিনে সব যাত্রীকে বাসের টিকিট দিতে পারি না। আমাদের তো সীমাবদ্ধতা আছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে রিজার্ভ বাস নামাবো। যানজট পরিস্থিতি ও আবহাওয়ার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
জেইউ/এমএআর/জেআইএম