বাগেরহাটের মোড়েলগজ্ঞ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ইউনুস হাওলাদারকে (৬৫) গলা কেটে হত্যা করেছে তারই ছেলে লাল মিয়া হাওলাদার (৪৫)।
Advertisement
শনিবার সকালে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জিউধরা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছেলে লাল মিয়াকে স্থানীয় লোকজন আটক করে মোড়েলগজ্ঞ থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। এছাড়া পুলিশ নিহত ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মোড়েলগজ্ঞ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম আবুল বাশার জানান, সকালে নিজ বাড়ি জিউধরা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে বাবার সঙ্গে ছেলের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ছেলে লাল মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা ইউনুস হাওলাদারকে গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনার পর চিৎকার ও কান্নাকাটির শব্দ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে নিহত ইউনুসের মরদেহ দেখতে পেয়ে তার ছেলে লাল মিয়াকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করে।
অপর একটি সূত্র জানায়, নিহত ইউনুসের সঙ্গে তার স্ত্রী বিউটি বেগম ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কলহ ছিল। এঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার তাদের মধ্যে একদফা মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে বিউটি বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
Advertisement
এসআই আবুল বাশার আরও জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এবং কেনই বা ছেলে তার বাবাকে হত্যা করল তা জানতে আটক লাল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
শওকত আলী বাবু/আরএ/এমএস