তিন তালাক বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত পরবর্তী সংসদে নেয়া হবে। পরবর্তী সংসদ পর্যন্ত তাই এই বিলের বিষয়ে আলোচনা স্থগিত রাখা হয়েছে।
Advertisement
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল এবং এর সংশোধন নিয়ে আলোচনা হবে। সে সময়ই হয়তো অধ্যাদেশও জারি করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্যসভায় পেশের আগেই তিন তালাক নিয়ে প্রস্তাবিত আইনটি আরও সরলীকরণের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যারা ওই আইন অমান্য করবে তারা জামিন পাবে একমাত্র আদালত যদি তাদের জামিন দিতে রাজি থাকে তবেই। একমাত্র ভূক্তভোগী নারী বা তার নিকটাত্মীয়রাই এ সংক্রান্ত মামলা করতে পারবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এই আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই আইনের নতুন সংশোধনের ফলে তিন তালাককে একটি অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। কিন্তু সরকারি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, যদি বিরোধীদের পূর্নাঙ্গ সমর্থন না পাওয়া যায় তবে জরুরি ভিত্তিতে এ নিয়ে অধ্যাদেশ পাস করানোর চেষ্টা করবে সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তিন তালাক আইনের সংশোধন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরের দিনই এই আইন নতুনভাবে প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
Advertisement
এই আইনের নতুন পরিবর্তনে, একমাত্র যে নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে সে অথবা তার কোনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ই তার স্বামীর বিরুদ্ধে তিন তালাকের মামলা করতে পারবে। এছাড়া ওই নারীর স্বামী যদি ফিরে আসেন তাহলে সে মামলাটি তুলে নিতে পারবে এবং স্বামীর সঙ্গে পুনরায় সংসার করতে পারবেন।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তিন তালাকের জন্য অভিযুক্ত স্বামীর ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে যে তিন বছরের জারি করা হয়েছিল নতুন সংশোধিত আইনেও সেই সাজা বহাল থাকবে। জামিনের জন্য একমাত্র প্রশাসনিক প্রধানই দায়বদ্ধ থাকবেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযুক্তকে জামিন দিতে পারবে না।
টিটিএন/পিআর
Advertisement