ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ৩২৪০ মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে ট্রাফিক আইন অমান্য করায় মোট ৩২৪০টি যানবাহন ও চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৫২টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে।

এক প্রেস বার্তায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ২৮৮টি, হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করার দায়ে ১২টি, হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহার করার জন্য ১৩টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস ব্যবহার করার জন্য ১৭টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ট্রাফিক বিভাগ আরও জানায়, অভিযানে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ৮৩২টি, গাড়ির ফিটনেস না থাকার কারণে ১০৫টি, ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করার কারণে ১ হাজার ৮৬৬টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় ৪২ ভিডিও (সিসি ক্যামেরা দেখে) এবং ১৩টি সরাসরি মামলা দেয়া হয়েছে।

এদিকে ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার রায় জাগো নিউজকে জানান, সোমবার ট্রাফিক সপ্তাহে ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয় এবং ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ডিএমপি ঢাকার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্টে ফুটওভারব্রিজ না মেনে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় ১৪ ব্যক্তি এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ৩টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ট্রাফিক উত্তর বিভাগের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভবিষ্যতে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

এর আগে রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্থানে ৭ দিনব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ট্রাফিক সপ্তাহ চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পুলিশকে হটিয়ে শিক্ষার্থীরা গাড়ির কাগজপত্র যাচাই ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু করে। এর পরপরই শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার অনুরোধ করে নতুন উদ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করে পুলিশ।

এআর/জেএইচ/এমএস