জমজ সন্তান জন্ম নেয়ার ঘটনা সব সময়ই বিস্ময়কর। কিন্তু জেনিফার অ্যাসোডের জন্য অপেক্ষা করছিল আরও বড় ধরনের টুইস্ট। কারণ চিকিৎসকরা আবিস্কার করলেন যে, জেনিফারের গর্ভে দু’টি শিশু আছে। কিন্তু ওই শিশুরা জমজ হলেও তারা একটি গর্ভাশয়ে নয়।
Advertisement
সাধারণত জমজ বাচ্চারা একই গর্ভাশয়ে থাকে কিন্তু জেনিফারের বেলায় তা ঘটেনি। তার জন্য সবচেয়ে বড় চমক ছিল এটাই যখন চিকিৎসকরা জানালেন যে তার গর্ভাশয় দু’টি। আর তার দুই শিশু দু’টি গর্ভাশয়ের মধ্যে বেড়ে উঠছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটা সত্যিই একটা বিরল ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা ৫শ মিলিয়নের মধ্যে একটি। জেনিফারের মতো যেসব নারীর দু’টি গর্ভাশয় রয়েছে, তাদের গর্ভাশয়ের যে কোন এক পাশেই সন্তান ধারণ ক্ষমতা তৈরি হয়। এর আগে জেনিফারের আরও একটি মেয়ে সন্তান হয়েছে যার বয়স এখন আট বছর। তার নাম মিললিয়ে। তবে মিললিয়ের জন্মের সময় দু’টি গর্ভাশয়ের কথা জানতে পারেননি জেনিফার।
এ বিষয়ে জেনিফার বলেন, আমার আগের আরও একটি বাচ্চা আছে। আর সে খুব স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। তবে এইবার আমার শরীরের এই অবস্থা আমাকে বিস্মিত করেছে।
Advertisement
তিনি জানান, গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহে তিনি এ বিষয়টি জানতে পারেন। সে সময়ই চিকিৎসকরা তাকে জানান যে, তার দু’টি গর্ভাশয়ে দু’টি শিশু বেড়ে উঠছে। সাধারণ এ ধরনের ঘটনা ৫শ মিলিয়নে একটি ঘটে থাকে।
বিট্রেনের কর্নওয়ালের ক্যামবোর্নের বাসিন্দা জেনিফারের গর্ভধারণের ৩৪ সপ্তাহে তার প্রসব বেদনা ওঠে। তিনি পিরান এবং পপি নামে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের দু’সপ্তাহ পরেই মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরে পিরান ও পপি।
জেনিফার বলেন, আমার আগের গর্ভাবস্থা থেকে এবার আমি অনেক অনেক বেশি অসুস্থ ছিলাম। কারণ, এটা খুবই বিরল একটি ঘটনা যে, আপনি দু’টি পৃথক গর্ভাশয়ে আলাদা আলাদা শিশুকে বহন করছেন। কি ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে আপনার কোন ধারণাই থাকবে না। তবে এটা সত্যিই খুব আনন্দের বিষয়।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement