শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রাজধানীর বিমানবন্দর, সাইন্স ল্যাবরেটরি এবং বাড্ডার সড়ক দিনভর অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। একই সময় সহপাঠী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যার বিচারের দাবিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নেয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
সোমবার দুপুর ২টা থেকে বসুন্ধরা গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে হানিফ পরিবহনের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তারা। পৌনে ৩ ঘণ্টা সড়কে অবস্থানের পর পুলিশের ধাওয়ায় সড়ক থেকে সরে যান তারা।
এ বিষয়ে পুলিশের ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সড়কে বিক্ষোভ করেছিল। এখন উঠে গেছে, যান চলাচল করছে।’
এদিকে বসুন্ধরার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নেয়ায় তীব্র যানজট দেখা যায় রাস্তার দু’পাশে। যানজট একদিকে রামপুরা আর অপর দিকে কুড়িলে গিয়ে ঠেকে।
Advertisement
এর আগে গত ২১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে বন্ধুর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। পথে রাত ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় যানজটে পড়ে বাসটি। এ সময় জরুরি প্রয়োজনে বাস থেকে নিচে নামেন পায়েল। কিছুক্ষণ পর যানজট কমলে বাসটি ছেড়ে দেয়। বাস ধরতে দ্রুত দৌড়ে আসেন পায়েল। বাসে উঠতে গিয়ে মুখে আঘাত পান। রাত মুখ থেকে রক্ত ঝরছিল। এ অবস্থায় ওই বাসের সহযোগীরা তাকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেন। এরপর থেকে আর পায়েলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ২৩ জুলাই সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর খাল থেকে পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এআর/জেডএ/এমএস