আয় বেড়েছে দেশীয় হ্যান্ডিক্রাফট বা হস্তশিল্প রফতানিতে। সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে আয় হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। এই আয়ে প্রবৃদ্ধিও এসেছে ১৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজি আর নীতি সহায়তা দিতে পারলে এ খাত থেকে আয় আরও বাড়ানো সম্ভব।
Advertisement
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয় এক কোটি ৬৭ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি হয়েছে ৭ লাখ ডলার বা ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। এই আয় আগের বছরের আয়কে ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাত থেকে রফতানি আয় হয় ১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশ থেকে পাটের তৈরি পণ্য, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঝুড়ি, ফ্লোর কাভারিংয়ের ম্যাট বা কার্পেট, নকশি কাঁথা ও নকশি বেডশিট সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়।
রফতানিকারকরা জানান, বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে হ্যান্ডিক্রাফট রফতানি করে থাকে বাংলাদেশ। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের হ্যান্ডিক্রাফটের বড় বাজার রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, চায়না, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো যারা হ্যান্ডিক্রাফট উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত, তারা এখন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির দিকে যাচ্ছে। ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত করার সুযোগ আছে। আগের এসব পণ্যের ক্রেতা বাংলাদেশে আসত না, এখন তারা বাংলাদেশে আসছেন। তাই বিভিন্ন আঙ্গিকে এসব পণ্যের বাজার তৈরি হচ্ছে।
Advertisement
এ অবস্থায় ক্ষুদ্র কুটির শিল্পগুলোকে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থার মাধ্যমে পুঁজি সংকট মেটানোর দাবি করেছেন তারা। এতে দেশের রফতানি আয় দ্বিগুণ হবে, রফতানির নতুন খাত বাড়বে। সঙ্গে সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।
এমএ/এসআর/জেআইএম