হজ ও ওমরা পালনে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরা পালন করা।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৯৬)
Advertisement
আবার হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য কাবা শরিফকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করতে আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম ও ইসমাইল আলাইহিস সালামকে নির্দেশ প্রদান করে বলেন-
‘তোমরা দু’জন আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১২৫)
সুতরাং ‘যার পথ খরচের সম্বল আছে তার জন্যই আল্লাহর এ ঘরে হজ সম্পাদন করা ফরজ। বস্তু যারা এ নির্দেশ পালনে অস্বীকার করবে (তাদের জেনে রাখা উচিত যে) নিশ্চয়ই আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টি জগতের কারো মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৭)
Advertisement
বছরের নির্দিষ্ট ৫টি দিনে নির্ধারিত রোকন পালনের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ এ হজ পালন করে থাকে। আর বছরের সব দিনই ওমরা পালন করা যায়; যাতে কোনো বাধা নেই।
তারপরও যারা হজ পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় গমন করে তারাও ওমরা পালন করতে পারবে। শুধুমাত্র ইফরাদ হজ পালনকারী ব্যতিত। কারণ এ হজে ওমরা করার কোনো সুযোগ নেই।
যারা তামাত্তু হজ পালনের নিয়ত করবে তারা প্রথমে ওমরা পালন করবে। অতঃপর হজের নির্ধারিত সময়ের আগে পুনরায় ইহরাম বেঁধে হজ পালন করবে।
আর যারা কিরান হজ আদায় করবে তারা এক ইহরামে হজ ও ওমরা পালন করবে। হজের সময় ওমরা পালনকারীদের জন্য করণীয় হলো-
Advertisement
ওমরা পালনে করণীয়হজ পালনে মক্কায় গমনকারীরা সঠিকভাবে ওমরা সম্পাদনে দু’টি কাজ আদায় করতে হবে। আর তাহলো- ওমরার ২টি ফরজ এবং ২টি ওয়াজিব যথাযথভাবে আদায় করা।
ওমরার ২ ফরজ>> ইহরাম বাধা;>> বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা।
আরও পড়ুন > হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শের ফজিলত
ওমরার ২ ওয়াজিব>> সাফা ও মারাওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করা; এবং>> মাথা হলক বা মুণ্ডনের মাধ্যমে হালাল হওয়া।
সতর্ক থাকতে হবেযারা কিরান হজ আদায় করবেন তারা ওমরা আদায়ে সাফা ও মারওয়া সাঈ করার পর মাথা মুণ্ডন না করে হজের কাজ সম্পন্ন করার পর কুরবানি করে ১০ জিলহজ মাথামুণ্ডন করবে। যদি কিরান হজ পালনকারীদের কেউ মাথা মুণ্ডন করে ফেলে তবে তার ইহরাম ভেঙে যাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব তামাত্তু ও কিরান হজ পালনকারীদেরকে যথাযথভাবে ওমরা পালনের তাওফিক দান করুন। হজের রোকনগুলো তাদের জন্য সহজ করে দিন। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর